আলসির লাড্ডু ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা কেবল হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে না, সেইসাথে জয়েন্টের ব্যথাতেও আরাম দেয়। এই লাড্ডুতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং শরীরকে অতিরিক্ত ক্ষতি থেকে বাঁচায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই লাড্ডু একটি চমৎকার উপায় হতে পারে, কারণ এতে থাকা উপাদানগুলো সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, বাদাম, আখরোট এবং কাজুর মতো শুকনো ফল এই মিশ্রণটিকে আরও পুষ্টিকর করে তোলে, যার ফলে এই লাড্ডুর পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়।
আপনি এই লাড্ডুগুলিকে আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করে শুধুমাত্র সুস্বাদু জলখাবারই করতে পারেন না, সেই সাথে আপনার স্বাস্থ্যকেও উন্নত করতে পারেন এবং অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে বাঁচতে পারেন।
আলসির লাড্ডু তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ
* আলসির বীজ - ২৫০ গ্রাম
* গুড় - ২০০ গ্রাম (বা স্বাদমতো)
* শুকনো নারকেল - ১০০ গ্রাম
* মেথি - ১ চামচ
* দেশি ঘি - ২-৩ চামচ
* শুকনো ফল (কাজু, বাদাম, কিসমিস) - ৫০ গ্রাম (কাটা)
* দারচিনি গুঁড়ো - ১/৪ চামচ
* এলাচ গুঁড়ো - ১/৪ চামচ
আলসির লাড্ডু তৈরির পদ্ধতি
* আলসি ভাজা: প্রথমে আলসির বীজগুলো ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিন। তারপর একটি কড়াইয়ে তেল ছাড়া আলসির বীজগুলো হালকা সোনালী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। খেয়াল রাখবেন, বেশি ভাজলে আলসির স্বাদ তেতো হয়ে যেতে পারে, তাই এটি সাবধানে ভাজুন।
* গুড় গলানো: এবার গুড় ছোট ছোট টুকরো করে ভেঙে নিন এবং একটি নন-স্টিক প্যানে অল্প আঁচে গলিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, গুড় যেন বেশি ঘন না হয়ে যায়, যাতে লাড্ডুর আকার সঠিক থাকে।
* নারকেল ভাজা: শুকনো নারকেল কুড়িয়ে নিন এবং একটি প্যানে হালকা সোনালী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
* সব উপকরণ মেশানো: এবার একটি বড় পাত্রে ভাজা আলসি, গলানো গুড়, ভাজা নারকেল, মেথি, কাটা শুকনো ফল, দারচিনি গুঁড়ো এবং এলাচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
* লাড্ডু তৈরি: এই মিশ্রণটি হাতের সাহায্যে ভালো করে মেখে গোল গোল লাড্ডু তৈরি করুন।
* সংরক্ষণ করা: তৈরি লাড্ডু একটি এয়ারটাইট পাত্রে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।
আলসির লাড্ডুর উপকারিতা
* আলসিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও সহায়ক।
* আলসি ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস, যা হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
* গুড়ের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স চিনির তুলনায় কম, যার কারণে এটি ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভালো বিকল্প।
* আলসিতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামও থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।