শেয়ার বাজার আজ: আজ ভারতীয় শেয়ার বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যার প্রধান কারণ হলো বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানির শেয়ারের উত্থান। ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL), भारती Airtel, Eternal, Tata Motors, Tata Steel, Maruti Suzuki এবং महिंद्रा অ্যান্ড মাহিন্দ্রা (M&M)-এর মতো কোম্পানির শেয়ারগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কেনাবেচা হয়েছে।
গত ২৬ জুন ভারতীয় শেয়ার বাজার ইতিবাচক সূচকের সাথে শুরু হয়েছিল। BSE সেনসেক্স ১০০ পয়েন্ট-এর বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে कारोबार শুরু করে, এবং নিफ्टीও ২৫,৩০০-এর কাছাকাছি পৌঁছেছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের দ্বারা বেশ কয়েকটি প্রধান শেয়ারে जोरदार কেনাবেচা হওয়ায় বাজার স্থিতিশীলতা লাভ করে।
এই বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক কারণের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা কিছুটা কমে যাওয়ায়, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের নরম মন্তব্য এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টের মাধ্যমে যে আস্থা প্রকাশ পেয়েছে—এই বিষয়গুলো বাজারের ইতিবাচক ধারণা বজায় রেখেছে।
কোন কোন শেয়ারে দেখা যাচ্ছে উত্থান
বাজারের শুরুতে যে কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বেশি কেনাবেচা হয়েছে তার মধ্যে BEL, Bharti Airtel, Eternal, Tata Motors, Tata Steel, Maruti Suzuki এবং Mahindra & Mahindra উল্লেখযোগ্য। বিনিয়োগকারীরা এই কোম্পানিগুলোর ভালো ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতা এবং সেক্টরীয় প্রবণতার কারণে এদের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
Tata Motors এবং Tata Steel-এর মতো স্টকগুলো আগে থেকেই বাজারের নজরদারিতে ছিল, কারণ Tata গ্রুপের কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা গত কয়েক মাসে বেড়েছে। অটো সেক্টরের কোম্পানি যেমন Maruti এবং M&M-এর শেয়ারগুলোতে উৎসব মৌসুম এবং গ্রামীণ চাহিদার কারণে উত্থান দেখা যাচ্ছে।
সেনসেক্স এবং নিফতির হাল
BSE সেনসেক্স দিনের শুরুতে প্রায় ১০০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে ৮২,৮৮২.৯২-এ শুরু হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই এটি আরও বাড়তি লাভ দেখায় এবং সকাল ৯:২৬ নাগাদ ২৫৩.৭৯ পয়েন্ট বা ০.২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮২,৯৯৮.৩০-এ পৌঁছায়।
একইভাবে, নিফটিও শক্তিশালীভাবে कारोबार শুরু করে এবং দিনের শুরুতে ২৫,৩০০-এর কাছাকাছি ছিল। নিফতির উত্থান মিড-ক্যাপ এবং স্মল-ক্যাপ শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগের কারণে হয়েছে।
আরবিআই-এর রিপোর্টের প্রভাব
भारतीय রিজার্ভ ব্যাংকের ‘স্টেট অফ দ্য ইকোনমি’ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ভারতীয় অর্থনীতির মূল ভিত্তি শক্তিশালী রয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত रेपो রেট ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে, যার ফলে এটি বর্তমানে ৫.৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এছাড়াও, আরবিআই ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ক্র্যাশ রিজার্ভ রেশিও (CRR)-তে ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমানোর পরিকল্পনা করছে, যার ফলে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকার নগদ অর্থ বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর ঋণের সুদ কমবে এবং বাজারে তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
বৈশ্বিক বাজারের চিত্র
আন্তর্জাতিক বাজারের ক্ষেত্রে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান বাজারে আজ মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। জাপানের নিккей সূচক ০.৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে টপিক্স সূচক ০.৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোस्पी ০.৫১ শতাংশ কমেছে এবং অস্ট্রেলিয়ার ASX 200-ও ০.১১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি নিয়ে স্থিতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে। তবে, এটি এখনও বাজারের জন্য একটি প্রধান ঝুঁকি এবং এর ভবিষ্যৎ গতিবিধি বিনিয়োগকারীদের নজরে রাখা উচিত।
মার্কিন বাজারের পরিস্থিতি
মার্কিন শেয়ার বাজারে গত রাতে সামান্য অস্থিরতা দেখা গেছে। Dow Jones ০.২৫ শতাংশ কমে ৪২,৯৮২.৪৩-এ বন্ধ হয়েছে। S&P 500 সামান্য হ্রাস পেয়ে ৬,০৯২.১৬-এ এবং NASDAQ Composite ০.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৯,৯৭৩.৫৫-এ বন্ধ হয়েছে।
ফেড চিয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সিনেটের সামনে testifying করার সময় বলেছেন যে যদি মুদ্রাস্ফীতি সাময়িক হয়, তাহলে সুদের হার কমানো যেতে পারে। তবে, তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করেননি। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশা দেখা যাচ্ছে যে এই বছরের শেষে সুদের হার কমানো হতে পারে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
বর্তমানে, মার্কিন GDP প্রাইস ইনডেক্স-এর চূড়ান্ত ডেটা এবং সাপ্তাহিক বেকারত্বের পরিসংখ্যানের দিকে বাজারের নজর রয়েছে। এই ডেটা থেকে মার্কিন অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে এবং এটি বিশ্ব বাজারের গতিপথকে প্রভাবিত করবে।
এছাড়াও, অভ্যন্তরীণ বাজারে তথ্য প্রযুক্তি (IT) এবং ব্যাংকিং সেক্টরের কোম্পানিগুলোর ত্রৈমাসিক আয় এবং সরকারের নীতিগুলির দিকেও বিনিয়োগকারীদের নজর রয়েছে।
আইপিও বাজারেও উত্তেজনা
প্রাথমিক বাজারে সম্প্রতি বেশ কিছু কোম্পানির আইপিও (Initial Public Offering) ইস্যু করা হয়েছে এবং সেগুলোর ভালো প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। শক্তিশালী তালিকাভুক্তি এবং বেশি চাহিদার প্রত্যাশার কারণে সেকেন্ডারি মার্কেটেও সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে।