সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের সরাসরি তলব নিয়ে উদ্বিগ্ন, বিচার প্রশাসনের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষার আহ্বান

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের সরাসরি তলব নিয়ে উদ্বিগ্ন, বিচার প্রশাসনের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষার আহ্বান
সর্বশেষ আপডেট: 8 ঘণ্টা আগে

বিচারক সংস্থা এবং পুলিশ কর্তৃক আইনজীবীদের কাছে সমন ও নোটিশ পাঠানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বুধবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, কোনো মামলার পক্ষकारोंকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিযুক্ত ডিফেন্ডিং আইনজীবীদের সরাসরি তলব করা উচিত নয়।

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট বুধবার তদন্তকারী সংস্থা এবং পুলিশ কর্তৃক আইনজীবীদের সরাসরি তলব করার প্রবণতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ, বিচারপতি কেভি বিশ্বनाथन এবং বিচারপতি এন. কোতিশ্চভার সিং এই বিষয়ে কঠোর মন্তব্য করে বলেছেন যে, প্রাথমিকভাবে এই ধরনের পদক্ষেপ अस्वीकार्य, কারণ এটি আইনজীবীদের পেশাদার স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি বিচার প্রশাসনের স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতাকে বিপন্ন করে তোলে।

আদালতের স্পষ্ট অবস্থান: ‘আইনজীবীদের নির্ভীকতা জরুরি’

বিচারপতিরা তাদের রায়ে বলেছেন যে, কোনো মামলার আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিযুক্ত আইনজীবীকে পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থা সরাসরি তলব করা একটি বিপজ্জনক প্রথার সূচনা হতে পারে। এর ফলে আইনজীবীরা তাদের ভূমিকা নির্ভীকতা ও স্বাধীনতা নিয়ে পালন করতে দ্বিধা বোধ করতে পারেন। বিচার ব্যবস্থার মধ্যে আইনজীবীদের নিরপেক্ষ ভূমিকা এবং সাহসী উপস্থাপনা গণতন্ত্রের স্তম্ভ, যা কোনো অবস্থাতেই দুর্বল করা উচিত নয়।

দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন

সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য নিম্নলিখিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে:

  1. যদি কোনো আইনজীবী শুধুমাত্র আইনি পরামর্শ দেওয়ার ভূমিকায় থাকেন, তাহলে কি তদন্তকারী সংস্থা বা পুলিশ তাকে সরাসরি তলব করার অধিকার রাখে?
  2. যদি কোনো তদন্তকারী সংস্থাকে মনে হয় যে, আইনজীবীর ভূমিকা শুধুমাত্র পরামর্শকের নয়, বরং কোনো ফৌজদারি ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণের সাথে জড়িত, তাহলে কি তাদের সেই ক্ষেত্রে সরাসরি সমন জারি করা উচিত, নাকি এই ধরনের পদক্ষেপ বিচারিক নজরদারির অধীনে হওয়া উচিত?

এই দুটি প্রশ্নের বিস্তৃত বিতর্কের জন্য সুপ্রিম কোর্ট ভারতের শীর্ষস্থানীয় আইনি প্রতিষ্ঠান এবং কর্মকর্তাদের সহায়তা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল আর. ভেঙ্কটরামুনি, সলিসিটর জেনারেল তুশার মেhta, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি মানন কুমার মিশ্রা, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিং এবং সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেটস অ্যাটর্নিস অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি বিপিন নায়ার অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

আন্তর্জাতিক সুরক্ষাসহ গুজরাট সরকারকে বিজ্ঞপ্তি

সুপ্রিম কোর্ট এই মন্তব্যগুলো গুজরাটের একজন আইনজীবীর याचिका শুনে করার সময় করা হয়েছিল, যেখানে তিনি উচ্চ আদালতের একটি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, যেখানে তাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট আবেদনকারীকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা প্রদান করে গুজরাট উচ্চ আদালতের ১২ জুন-এর আদেশ স্থগিত করে এবং আইনজীবী কর্তৃক পাঠানো সমন ও নোটিশের বাস্তবায়নও স্থগিত করে।

পাশাপাশি, গুজরাট সরকারকে এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আদালত এই বিষয়ে ব্যাপক এবং নীতিগত নির্দেশনার জন্য প্রধান বিচারপতি (CJI)-এর কাছে এই মামলাটি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে।

ইডি-র পূর্ববর্তী সমন নিয়ে প্রশ্ন

সম্প্রতি, प्रवर्तन निदेशालय (ED) সুপ্রিম কোর্টের একজন वरिष्ठ আইনজীবী अरविंद datthর এবং प्रताप ভেণুগোপালকে একটি মামলায় সমন জারি করার পর, আইনি মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। আইনজীবীদের বিভিন্ন সমিতি এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আইনজীবীদের স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে। এরপর ইডির সেই সমন প্রত্যাহার করতে হয় এবং একটি অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ধরনের পদক্ষেপ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

Leave a comment