ডিবিএস ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য নতুন নিয়ম: ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখতে জরিমানা

ডিবিএস ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য নতুন নিয়ম: ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখতে জরিমানা
সর্বশেষ আপডেট: 5 ঘণ্টা আগে

যদি আপনার অ্যাকাউন্ট DBS बँकेয় থাকে, তবে এই খবর আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের জন্য নতুন নিয়ম জারি করেছে, যার অধীনে এখন সেভিংস অ্যাকাউন্টধারীদের একটি ন্যূনতম গড় মাসিক ব্যালেন্স (AMB) বজায় রাখতে হবে।

আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট DBS बँकेয় থাকলে এই খবরটি আপনার জন্য খুবই জরুরি। ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের জন্য একটি নতুন নিয়ম চালু করেছে যা ১ আগস্ট, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন প্রতিটি অ্যাকাউন্টধারীকে তাদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে গড়ে ১০,০০০ টাকা ব্যালেন্স রাখতে হবে। যদি কোনো গ্রাহক এটি করতে ব্যর্থ হয়, তবে তার উপর জরিমানা আরোপ করা হবে। ব্যাংকটির এই সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের জন্য হতাশাজনক হতে পারে, বিশেষ করে যারা কম পরিমাণ অর্থ নিয়ে ব্যাংকিং করেন।

নতুন নিয়ম এবং এর প্রয়োজনীয়তা

DBS, সিঙ্গাপুরের একটি শাখা, ঘোষণা করেছে যে ১ আগস্ট, ২০২৫ থেকে সকল সেভিংস অ্যাকাউন্টধারীদের তাদের অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম গড় মাসিক ব্যালেন্স বজায় রাখতে হবে। এই গড় ব্যালেন্সের সীমা ১০,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মানে হলো, পুরো মাসে আপনার অ্যাকাউন্টে গড়ে ১০,০০০ টাকার ব্যালেন্স থাকতে হবে। যদি এই ব্যালেন্স কম হয়, তবে সেই মাসের জন্য গ্রাহকের উপর জরিমানা আরোপ করা হবে।

ব্যাংকটি বলছে যে এই পদক্ষেপটি ব্যাংকিং সিস্টেমের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং অ্যাকাউন্টগুলির নিরীক্ষণকে সহজ করতে নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটি আশা করে যে এর মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের আর্থিক অবস্থার প্রতি আরও সতর্ক হবেন এবং অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স বজায় রাখার অভ্যাস তৈরি করবেন।

জরিমানা

যদি কোনো গ্রাহক ১০,০০০ টাকার গড় মাসিক ব্যালেন্স বজায় রাখতে ব্যর্থ হন, তবে তার উপর সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ব্যাংক কর্তৃক জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে, জরিমানার পরিমাণ অ্যাকাউন্টে থাকা ব্যালেন্সের অনুপাতে হবে। এই চার্জ মোট ব্যালেন্সের ৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, তবে এটি বিভিন্ন ব্যালেন্স স্ল্যাবের উপর ভিত্তি করে সীমিত করা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, যে অ্যাকাউন্টগুলোতে ন্যূনতম গড় ব্যালেন্স ১,০০০ টাকা হওয়া উচিত, সেখানে ৬ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ ৫০ টাকার চার্জ প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে, যদি কোনো অ্যাকাউন্টের গড় ব্যালেন্সের সীমা ৫,০০০ টাকা হয়, তবে চার্জ সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে, ব্যাংক এটাও স্পষ্ট করেছে যে জরিমানা অ্যাকাউন্টের প্রকারভেদে ভিন্ন হতে পারে।

ATM থেকে টাকা তোলার নিয়ম

DBS बँकेর ATM থেকে টাকা তোলা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে থাকবে। তবে, যদি কোনো গ্রাহক অন্য কোনো बँकेর ATM থেকে নগদ টাকা তোলেন, তবে তাকে বিনামূল্যে লেনদেনের সীমা অতিক্রম করার পর প্রতি লেনদেনের জন্য ২৫ টাকার চার্জ দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় লেনদেনের জন্যেও বিনামূল্যে লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার পরে ১০.৫ টাকার প্রতি লেনদেনের চার্জ প্রযোজ্য হবে।

ব্যাংকটি এই পদক্ষেপটিকে গ্রাহকদের মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংকিং এবং সুষম লেনদেনের প্রচারের লক্ষ্যে বিবেচনা করছে। বিশেষ করে যখন ব্যাংকিং পরিষেবাগুলির ডিজিটালাইজেশন দ্রুত বাড়ছে, তখন গ্রাহকরা এখন সহজেই তাদের অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স সম্পর্কে জানতে পারেন এবং সময় মতো লেনদেন করতে পারেন।

গ্রাহকদের উপর প্রভাব

এই নতুন নিয়মের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে उन গ্রাহকদের উপর যারা কম আয়ের স্তরে থেকে থাকেন অথবা যাদের অ্যাকাউন্ট শুধুমাত্র ভর্তুকি, বৃত্তি বা সীমিত লেনদেনের জন্য খোলা হয়েছে। এই ধরনের অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকার ব্যালেন্স বজায় রাখা কঠিন হতে পারে। গ্রামীণ এবং अर्ध-শहरी অঞ্চলে বসবাসকারী গ্রাহকদের জন্য এই নিয়ম একটি বোঝা হতে পারে।

ব্যাংকিং সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপটি ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং ব্যবসাকে আরও লাভজনক করার দিকে একটি পদক্ষেপ। অনেক ব্যাংক ইতিমধ্যেই এই ধরনের ন্যূনতম ব্যালেন্সের নিয়ম প্রয়োগ করেছে। DBS बँकेর এই পদক্ষেপটিও একই দিকে একটি নতুন প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গ্রাহকদের জন্য পরামর্শ

যদি আপনার অ্যাকাউন্ট DBS बँकेয় থাকে, তবে আপনাকে এখন আপনার অ্যাকাউন্টের নিরীক্ষণ আরও বেশি করে করতে হবে। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে মাসের প্রতিটি দিনের ব্যালেন্স গড়ে ১০,০০০ টাকা esteja। যদি কোনো দিনে ব্যালেন্স অনেক কমে যায়, তবে আপনাকে বাকি দিনগুলোতে অতিরিক্ত অর্থ রাখতে হবে যাতে গড় ব্যালেন্স বজায় থাকে। আপনি আপনার নেটব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমেও গড় মাসিক ব্যালেন্সের অবস্থা পরীক্ষা করতে পারেন।

এছাড়াও, ব্যাংক কর্তৃক পাঠানো ইমেল এবং এসএমএস-এর দিকেও ध्यान দিতে হবে, কারণ এই মাধ্যমেই গ্রাহকদের নিয়মাবলীর পরিবর্তন সম্পর্কে জানানো হয়। সময়-সময় ব্যাংক की ওয়েবসাইট বা কাস্টমার কেয়ার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং রাখা भी জরুরি।

ব্যাংকিং নীতির ব্যাখ্যা

भारतीय रिजर्व बैंक (RBI) बैंकोंকে এই স্বাধীনতা দিয়েছে যে তারা তাদের সেভিংস অ্যাকাউন্টের প্রকারভেদে ন্যূনতম ব্যালেন্স নির্ধারণ করতে পারে। তবে, ব্যাংকগুলোকে জরিমানা আরোপ করার আগে গ্রাহকদের জানানো এবং তাদের জন্য একটি সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। DBS बँकेর এই নিয়ম প্রয়োগ করার আগে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা তাদের ব্যাংকিং আচরণে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারেন।

Leave a comment