শীতকালে দৌড়ানোর সময় যে বিষয়গুলি মনে রাখা দরকার

🎧 Listen in Audio
0:00

উত্তর ভারতে শীতের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে, যার কারণে মানুষ সাধারণত বাড়ি থেকে বেরোনো এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে, কিছু মানুষ এই আবহাওয়াকে দৌড়ানোর মতো শারীরিক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করছেন। কিন্তু, শীতকালে দৌড়ানোর সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা দরকার।

'জার্নাল অফ স্পোর্ট অ্যান্ড হেলথ সায়েন্স'-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, শীতকালে দৌড়ালে শুধু ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বাড়ে তাই নয়, এটি শারীরিক কার্যকলাপকে বাড়ানোর একটি ভালো উপায়। ডাক্তাররা বলছেন, এই সময় বাইরে দৌড়ানো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে এর জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

তবে, ঠান্ডার মধ্যে দৌড়ানোর আগে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। প্রথমত, আপনাকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরতে হবে এবং আবহাওয়া অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। বরফ বা ভেজা জায়গা এড়িয়ে চলাও খুব জরুরি, কারণ এতে পিছলে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আপনি যদি শীতকালে দৌড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিন এবং সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করে এটিকে আনন্দদায়ক ও নিরাপদ করে তুলতে পারেন।

ঠান্ডায় দৌড়ানোর সময় এই বিষয়গুলি মনে রাখুন

• পড়ে যাওয়া: বরফ এবং তুষারপাতের কারণে হাড়ের জোড় এবং লিগামেন্টে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

• ফ্রস্টবাইট: ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে আপনার ত্বক এবং টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

• হাইপোথার্মিয়া: ঠান্ডা বাতাস, গরম বাতাসের তুলনায় শরীর থেকে দ্রুত তাপ হারাতে সাহায্য করে, যা হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

• আঘাত: ঠান্ডায় দৌড়ানোর সময় যদি সঠিক প্রস্তুতি না নেওয়া হয় তবে আঘাত লাগার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

• হৃদরোগের জন্য উপকারী: প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট দৌড়ালে হৃদরোগ সুস্থ থাকে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে। দৌড়ানোর ফলে পেশি দ্রুত রক্ত পাম্প করে, যা হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী। তাই, প্রতিদিন কয়েক মিনিট দৌড়ানো খুবই উপকারী।

• ওজন কমানো: মেদ কমানোর জন্য হাঁটার চেয়ে দৌড়ানো অনেক বেশি কার্যকর। প্রতিদিন কয়েক মিনিট দৌড়ালে দ্রুত ফ্যাট বার্ন হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। দৌড়ানোর ফলে পেটের চর্বি কমানো যায়, কারণ এটি বেশি ক্যালোরি বার্ন করে, যা ওজন কমানোর জন্য খুবই জরুরি।

• হ্যাপি হরমোন বৃদ্ধি: দৌড়ালে শরীরে হ্যাপি হরমোনের মাত্রা বাড়ে, যা মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে। দৌড়ানোর সময় এইচজিএইচ (হিউম্যান গ্রোথ হরমোন) তৈরি হয়, যা শরীরকে সুখী ও সুস্থ রাখে। নিয়মিত দৌড়ালে শুধু শক্তিই পাওয়া যায় না, বরং বয়স বৃদ্ধির গতিও কমিয়ে আনা যায়।

• ঘুমের উন্নতি: যাদের ঘুমের সমস্যা আছে, তাদের জন্য দৌড়ানো উপকারী হতে পারে। প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিটের দৌড় বা কার্ডিও ব্যায়াম করলে শুধু ঘুমের ধরণই উন্নত হয় না, ঘুমের গুণমানও ভালো হয়। দৌড়ানোর ফলে শরীরে গভীর এবং শান্ত ঘুম আসে, যার কারণে আপনি সারা রাত সতেজ অনুভব করেন।

```

Leave a comment