চীন-সহْ CHINA समिट-এর সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তান সম্পর্কে কঠোর মনোভাব পোষণ করেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত তার দৃঢ় অবস্থান স্পষ্ট করেন।
চীন-সহْ CHINA समिट: ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং চীন-এর কিংডাও-তে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (SCO)-এর বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। পূর্ব লद्दाख-এর LAC (LAC)-এ সামরিক উত্তেজনা চলার পর ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রথম চীন সফর করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খ्वाজা আসिफও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দ্বি-স্পষ্ট বার্তা
বৈঠকে রাজনাথ সিং ভারত পক্ষে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব পোষণ করে স্পষ্ট করেন যে, কোনো পরিস্থিতিতেই ভারত সন্ত্রাসকে মেনে নেবে না। তিনি সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর-এর পেলগাাম-এ হওয়া সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন যে, এই হামলার দায় নেয় “দ রেজিসটেন্স ফ্রন্ট” নামক একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, যা লश्কার-এ-तैয়বা-র সঙ্গে যুক্ত। এই হামলায় ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে ২৬ জন নিরীহ মানুষের জীবনহানি ঘটে, যাদের মধ্যে একজন নেপালী নাগরিকও ছিলেন।
অপারেশন সিনদুর-এর উল্লেখ এবং পাকিস্তানের সতর্কবার্তা
রাজনাথ সিং বলেন, এই হামলার ধরণ লश्কার-এ-तैয়বা-র পূর্বের হামলার সঙ্গে মিলে যায়। ভারত তার আত্মরক্ষার অধিকার ব্যবহার করে ৭ই মে, ২০২৫ তারিখে অপারেশন সিনদুর শুরু করে। এই সামরিক অভিযানে সীমান্ত পার থেকে আসা সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন যে, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতি অনুসরণ করে এবং এখন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটিগুলো ভারতের নাগাল থেকে বাইরে চলে গেছে।
যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষর করতে অস্বীকার
বৈঠকের পর সাধারণত যে যৌথ বিবৃতি বা প্রোটোকল জারি করা হয়, তা স্বাক্ষর করতে রাজনাথ সিং স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেন। এর কারণ ছিল, পাকিস্তান এবং চীন এই বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের উল্লেখ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। যদি ভারত রাজি হতো, তাহলে এটি ভারতের কঠোর মনোভাবকে দুর্বল করে দিত। তাই এই বার বৈঠকের কোনো যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়নি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী-এর সাথে রাজনাথ সিং-এর কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
SCO-কে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে निर्णायक ভূমিকা
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, SCO-কে সেই দেশগুলোকে নিন্দা করা উচিত যারা সন্ত্রাসকে সমর্থন করে অথবা এটিকে তাদের পররাষ্ট্রনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তিনি বলেন, যে দেশগুলো সন্ত্রাসকে উৎসাহিত করে এবং নিজেদের স্বার্থের জন্য এর ব্যবহার করে, তাদের এর ফল ভোগ করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ যেকোনো উদ্দেশ্যে করা হোক না কেন, সেটি সম্পূর্ণভাবে অপরাধমূলক এবং अस्वीकार्य।
WMDs এবং নন-স্টেইট অ্যাক্টরস-এর উদ্বেগ
রাজনাথ সিং বলেন, सामूहिक विनाश के हथियार (Weapons of Mass Destruction)-এর নন-স্টেইট অ্যাক্টরদের হাতে চলে গেলে, তা মানবজাতির জন্য হুমকি। তিনি বলেন, শান্তি ও সমৃদ্ধি এই ধরনের বিপদগুলোর সঙ্গে সহাবস্থান করতে পারে না। তাই, সকল দেশের উচিত একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ এবং WMDs-এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
আফগানিস্তানের বিষয়ে ভারতের অবস্থান
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, ভারত लगातार আফগানিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতার সমর্থন করে আসছে। আফগানিস্তানের নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান এবং দেশটির পুনর্গঠনে সহযোগিতা করার জন্য ভারত তার নীতি বজায় রেখেছে। ভারত সেখানে क्षमता निर्माण এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।
সংযোগ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তা
রাজনাথ সিং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং সংযোগকে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত বলেছেন। তিনি বলেন, মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতের সংযোগ বৃদ্ধি পেলে শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে না, বরং পারস্পরিক বিশ্বাসও আরও দৃঢ় হবে। তবে তিনি আরও যোগ করেন যে, এই সমস্ত প্রচেষ্টায় SCO-এর মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি সম্মান জানানো জরুরি, যার মধ্যে সকল সদস্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান অন্যতম।
বিশ্ব cooperación-এর আবেদন
ভারত এই বৈঠকে স্পষ্ট করে যে, কোনো দেশ, সে যতই শক্তিশালী হোক না কেন, একা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে না। বিশ্ব cooperación এবং বহু-পক্ষীয়তা (Multilateralism)-ই ভবিষ্যতের পথ। রাজনাথ সিং ভারত-এর প্রাচীন ঐতিহ্য-এর কথা উল্লেখ করে বলেন – “सर्वे जन सुखिनो भवन्तु” অর্থাৎ, সকল মানুষ যেন সুখে থাকে – এই ধারণাটিই বিশ্ব cooperación-এর ভিত্তি।