লুধানা উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর কংগ্রেস শিবিরে দলबाजी: তিন বর্ষীয়ান নেতা পদত্যাগ

লুধানা উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর কংগ্রেস শিবিরে দলबाजी: তিন বর্ষীয়ান নেতা পদত্যাগ
সর্বশেষ আপডেট: 6 ঘণ্টা আগে

লুধানা উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর কংগ্রেস শিবিরে দলबाजी প্রকাশ্যে এসেছে। তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন। ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

पंजाब রাজনীতি: লুধানা পশ্চিম উপনির্বাচনে পরাজয় আবারও पंजाब কংগ্রেসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ করে দিয়েছে। কংগ্রেস প্রার্থী ভারত भूषण আশুর পরাজয়ের পর প্রথমে তিনি কার্যনির্বাহী প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং এরপর আরও দুই বর্ষীয়ান নেতা, পরগত সিং এবং কুশলদীপ সিং কিকি ধিল্লোরও उपाध्यक्ष পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এই ঘটনা आगामी ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলের জন্য একটি গুরুতর সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পরাজয়ের পরপরই পদত্যাগের ধারাবাহিকতা

লুধানা পশ্চিম আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী ভারত भूषण আশুর পরাজয়ের পর তিনি নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করেন। তার এই পদক্ষেপের পর জলন্ধর ক্যান্টের বিধায়ক পরগত সিং এবং ফরিদকোটের প্রাক্তন বিধায়ক কুশলদীপ সিং কিকি ধিল্লোরও পিপিसीसी-র उपाध्यक्ष পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এই পদত্যাগগুলো দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভেদের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

দলबाजी ছিল পরাজয়ের প্রধান কারণ

২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছিল এবং সেই সময় দলের অভ্যন্তরে বিদ্যমান বিভেদকে এর প্রধান কারণ হিসেবেও বিবেচিত হয়েছিল। এখন ২০২৫ সালের উপনির্বাচনের সময়ও একই ধারা প্রতিফলিত হয়েছে। দলের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে লুধানাতে পরাজয়ের কারণ হল প্রার্থী ভারত भूषण আশুকে দলের পর্যাপ্ত ঐক্যবদ্ধ সমর্থন এবং সমর্থন পাওয়া যায়নি। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রদেশ সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারডিংয়ের সাথে নিজেকে যুক্ত করেননি।

বার্তাটি পুরো পাঞ্জাবে ছড়িয়ে পড়েছে

কংগ্রেসের অনেক বর্ষীয়ান নেতা বলছেন যে লুধানা নির্বাচন কেবল একটি আসনের বিষয় ছিল না, বরং এটি পাঞ্জাবের সর্বত্র একটি বার্তা দিয়েছে যে দলটি অভ্যন্তরীণভাবে বিভক্ত। আশু যদিও পরাজয়ের দায়িত্ব নিজে স্বীকার করেছেন, তবে তার প্রচারণায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুপস্থিতি ভোটারদের মধ্যে একটি ধারণা তৈরি করেছে যে কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ নয়। এই বার্তাটি ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলোতে কংগ্রেসের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

ভূপেস बघेल-এর ভূমিকা নিয়ে নজর

কংগ্রেসের উচ্চকমান্ড পাঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেস बघेलকে দিয়েছেন। এখন সবার দৃষ্টি बघेल-এর দিকে নিবন্ধিত হয়েছে যে তিনি দলের অভ্যন্তরীণ বিভেদগুলো কীভাবে সমাধান করবেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি শীঘ্রই পাঞ্জাবের নেতাদের সাথে দেখা করে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করবেন এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার দিকে পদক্ষেপ নেবেন।

রাজা ওয়ারডিং-এর চ্যালেঞ্জ

দলের প্রদেশ সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারডিংও দলबाजीর ধারণা কংগ্রেসকে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করতে পারে নিয়ে চিন্তিত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি এই বিষয়ে উচ্চকমান্ডের সাথে আলোচনা করতে পারেন যাতে দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করা যায়। লুধানাতে পরাজয়ের পেছনে আশুর ‘সলো ফাইট’কেও একটি কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

নৈতিকতার ভিত্তিতে পদত্যাগ

ফরিদকোটের প্রাক্তন বিধায়ক কুশলদীপ সিং কিকি ধিল্লোরও পিপিसीसी-র उपाध्यक्ष পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে এই পদত্যাগ কোনো অসন্তুষ্টির কারণে নয়, বরং নৈতিকতার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন যে উপনির্বাচনের সময় দলটি দলগতভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে, তবে সরকারের চাপ এবং ভোটারদের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Leave a comment