বিহারে বর্ষা মৌসুমের গতি কিছুটা ধীর হয়েছে, তবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি এখনও পরিবর্তনশীল। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে, আপাতত রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ দফতর (IMD) किशनगंज জেলার জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। বিভাগটি জানিয়েছে যে, এখানে ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় উঠতে পারে, সেই সাথে ভারী বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে এবং খোলা জায়গায় ঘোরাঘুরি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায়, বুধবার রাত ২টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাঁকা, ভাগलपुर, মুंगेর, খাগরিয়া, বেগুসराय, গায়া এবং পশ্চিম চম্পারণ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই এলাকাগুলোতে আগে থেকেই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাতেরlate বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে মানুষ কিছুটা গরম থেকে মুক্তি পেয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী কয়েক দিনের জন্য রাজ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাতত ভারী বৃষ্টি হওয়ার কোনো বড় পূর্বাভাস নেই। বিভাগটি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আরও সতর্কতা জারি করবে।
এই জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস
বিহারের বর্ষা মৌসুম আবার সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় আবহাওয়াবিদ দফতর (IMD) রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি, ঝড় এবং বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে। উত্তর-পূর্ব বিহারের পূর্ণিয়া, कटिहार, सुपौल, সहरসা, अररिया এবং মধেপুরার মধ্যে আগামী কয়েক ঘন্টায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, জামুই, পূর্ব চম্পারণ, सारণ, सिवান, গোপালগঞ্জ, বুকুর, রোহতাস, कैमুর, আওয়াধপুর এবং भोजপুর জেলায় ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই এলাকাগুলোতে মেঘের গর্জন এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে এবং আবহাওয়ার সতর্কবার্তা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ দফতর এই জেলাগুলির বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেছে। তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন যে খারাপ আবহাওয়ার সময় খোলা জায়গায় বের হওয়া উচিত না, গাছের নিচে বা দুর্বল কাঠামোতে আশ্রয় নেওয়া উচিত না এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকতে হবে।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আবহাওয়ার পরিস্থিতি একই রকম থাকতে পারে। প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে এবং জেলা স্তরে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। बदलते আবহাওয়াকে মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
पटनाতে মেঘলা আকাশ
রাজধানী पटना সহ বিহারের বিভিন্ন অংশে আবহাওয়া পরিবর্তিত হয়েছে। বুধবার সারাদিন আকাশ মেঘলা ছিল, কখনও तेज धूप, কখনও আবার মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা যেকোনো সময় মানুষকে ভিজিয়ে দিতে পারে।
বুধবার पटनाতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে। যদিও তীব্র গরম থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না, তবে মেঘলা আকাশ এবং মাঝে মাঝে হালকা बूंदाबांदी আবহাওয়াকে কিছুটা আরামদায়ক করে তুলতে পারে।
রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই ধরনের আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভাগটি স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে এবং বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখার কথা বলেছে, কারণ আবহাওয়া যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।
বুধবার কোথায় কতটা বৃষ্টিপাত হয়েছে
- গয়ায় সবচেয়ে বেশি ১০৮.৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
- বুকুরেও ঝুম বৃষ্টি, ৭৮.২ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
- দরণীতে ৪৫ মিমি, জামুইতে ৩৮ মিমি এবং নবানাতে ৩৭.৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
- রোhtaসে ৩৪.৪ মিমি, নালান্দে ২৯.৪ মিমি, ধুবুতে ২৮.৪ মিমি এবং বাঁকাতে ২৮ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
- বেগুসারে ২২ মিমি, বৈশালীতে ১৯.৪ মিমি, সমস্টিপুরে ১৮.০২ মিমি এবং পূর্ব চম্পারণে ১৮ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
- पटना (খুসরাপুরে) তে ৪২.৪ মিমি এবং पटना (বাড়) অঞ্চলে ১৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। পশ্চিম চম্পারণ, সিয়ান, सारণ, भोजপুর, जहाনাবাদ, লখিসরাই, পূর্ণিয়া এবং মুंगेর জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই এলাকাগুলোতে বৃষ্টিপাত চলতেই থাকছে, যার ফলে স্থানীয় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে এবং মানুষ গরম থেকে মুক্তি পেয়েছে।
তাপমাত্রায় সামান্য বৃদ্ধি
বিহারে বর্ষা প্রবেশ করেছে, কিন্তু বৃষ্টি সত্ত্বেও তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়নি। আবহাওয়াবিদদের মতে, বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গোপালগঞ্জে ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, যেখানে সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাঁকাতে ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বর্তমানে রাজ্যের গড় তাপমাত্রা প্রায় ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের आसपास রয়েছে। হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টি কিছুটা আরামদায়ক অনুভূতি দিলেও, আর্দ্র গরম থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায়নি। আবহাওয়ায় সামান্য ठंडক থাকলেও, মানুষ এখনও গরম এবং আর্দ্রতার অনুভূতি অনুভব করছে।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্ষা মৌসুমের গতি কিছুটা ধীর হলেও, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যাবে। বিশেষ করে किशनगंज এবং आसपासের অঞ্চলে বজ্রপাত এবং ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
অন্যান্য জেলাগুলোতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা স্থানীয়দের আবহাওয়াকে ध्यान में রেখে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করেছেন।