গ্রীন টির দ্বিগুণ প্রভাব: যখন মেশাবেন এই বিশেষ আয়ুর্বেদিক উপাদান
আজকালকার দৌড়ঝাঁপের জীবনে, সবাই কোনো না কোনো শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো আমাদের ভুল খাদ্যাভ্যাস। সঠিক সময়ে সঠিক জিনিস না খাওয়ার কারণে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই কারণে আজকাল অনেকেই গ্রীন টি তাদের দৈনন্দিন রুটিনে যোগ করেছে। ফিটনেস এবং স্বাস্থ্যের কথা বলতে গেলে, গ্রীন টির উপকারিতা অস্বীকার করা যায় না। গ্রীন টির স্বাস্থ্যগত সুবিধার কারণে বিশ্বজুড়ে এর ব্যবহার বাড়ছে।
গ্রীন টি থেকে প্রাপ্ত উপকারিতা
গ্রীন টি-তে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে যা সুস্থ ব্যক্তিদের সুগার থেকে দূরে রাখে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এটিকে মুখের জন্যও উপকারী করে তোলে। এটি সেবন করলে ব্যাকটেরিয়াল প্ল্যাক নিয়ন্ত্রণ হয়, যা দাঁত বা মাড়ির রোগের কারণ। গ্রীন টি-তে ফ্লুরাইড থাকে যা দাঁতকে ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা করে। গ্রীন টি-তে ক্যাটেচিন থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর নিয়মিত সেবনে অটোইমিউন রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। যারা গ্রীন টি পান করেন তাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। এতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি লিভারের জন্যও উপকারী।
গ্রীন টি-কে আরও বেশি কার্যকর করার উপায়
মধু
মধু গ্রীন টি-তে প্রাকৃতিক চিনির কাজ করে। এর পাশাপাশি এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ আপনাকে সুস্থ রাখে। এটি শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, এর থেকে উজ্জ্বল ত্বকও পাওয়া যায়।
লেবু
লেবু ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস। কোভিড-১৯ এর সময়ে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পৌঁছানো খুবই জরুরি। গ্রীন টি-এর সাথে লেবুর রস মেশালে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য বেড়ে যায়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আদা
আদা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গ্রীন টি-এর সাথে আদা মেশালে এর প্রভাব দ্বিগুণ হয়ে যায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। এটি ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পুদিনা ও দারুচিনি
পুদিনা হজম ঠিক রাখার পাশাপাশি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে, দারুচিনি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। গ্রীন টি-এর সাথে এগুলো মেশালে এর উপকারিতা বেড়ে যায়।
স্টিভিয়া পাতা
স্টিভিয়া হলো মিষ্টি তুলসী পাতা। গ্রীন টি-এর সাথে স্টিভিয়া মেশালে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
গ্রীন টি পানের সঠিক সময়
সঠিক সময়ে গ্রীন টি পান করলেই এর উপকারিতা পাওয়া যায়। খাবার খাওয়ার পরপরই বা ঘুমানোর আগে গ্রীন টি পান করা উচিত নয়। আপনি যদি কোনো ওষুধ খান, তাহলে ওষুধ খাওয়ার পরপরই গ্রীন টি পান করবেন না। সকালে খালি পেটে গ্রীন টি পান করাও ক্ষতিকর হতে পারে। গ্রীন টি সকালবেলা বা খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে বা পরে পান করুন। এতে এর সেরা ফলাফল পাওয়া যাবে।