মেরুদণ্ডের ফাঁক কমানোর আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি

🎧 Listen in Audio
0:00

মেরুদণ্ডের ফাঁক কিভাবে কমাবেন? আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি জেনে নিন Ayurvedic method to reduce the gap in the spine

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এর মধ্যে একটি হল মেরুদণ্ডে ফাঁক হওয়া। বৈজ্ঞানিকভাবে একে স্পন্ডিলাইসিস বলা হয়। এটি যে কোনও বয়সেই হতে পারে। তবে, সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি আরও খারাপ হয়। যদিও, কিছু কারণের জন্য কম বয়সীদেরও এটি হতে পারে। অনেকেই এই সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন জায়গায় যান, কিন্তু সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার পরেও সবার জন্য উপশম পাওয়া যায় না। তবে, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করতে পারলে এর বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব। আপনি কিভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন তা দেখে নেওয়া যাক।

মেরুদণ্ডের ফাঁকের লক্ষণ:

১. মেরুদণ্ডে একটানা ব্যথা।

২. ভারী জিনিস তোলার সময় ব্যথা।

৩. সোজা হয়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ালে ব্যথা।

৪. সোজা হয়ে দাঁড়ালে পিছনের দিকে কটকট শব্দ হওয়া।

৫. পিছন সোজা রাখতে অসুবিধা।

৬. সোজা হয়ে শুতে অসুবিধা।

৭. মেরুদণ্ডের ফাঁকের সঠিক চিকিৎসা:

মেরুদণ্ডের হাড়ের মধ্যেকার সাধারণ ব্যবধান, যাকে ইংরেজিতে স্পন্ডিলাইসিস বলা হয়, তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে। স্পন্ডিলাইসিস একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি আরও খারাপ হয়। এই অবস্থাকে প্রায়শই মেরুদণ্ডের অস্টিওআর্থারাইটিসও বলা হয়।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে মেরুদণ্ডের ফাঁক নিরাময় করুন:

আপনার মেরুদণ্ডে ফাঁক থাকলে, আপনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার পাশাপাশি পশ্চিমা চিকিৎসাও নিতে পারেন। আয়ুর্বেদে এই অবস্থার নিরাময়ের জন্য অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহারের আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন।

ত্রয়োদশাঙ্গ গুগ্গুল।

লক্ষাদি গুগ্গুল।

মুক্তা শুক্তি ভস্ম।

এই ওষুধগুলির মধ্যে কোনটি ব্যবহার করার আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন। কারণ এটি আপনার স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার বাত থাকলে, এই ওষুধগুলি ব্যবহার করার আগে বাত নিরাময়ের জন্য কিছু ওষুধ খাওয়া উচিত। কারণ এটি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। তাই, লেবুর রস খাওয়া আপনার জন্য ভালো হতে পারে।

মেরুদণ্ডের ফাঁক কমাতে বা প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা:

১. এই অবস্থা প্রতিরোধ করতে ব্যায়াম প্রয়োজন।

২. যারা দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালান, তাদের পিছনের দিকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য কুশন ব্যবহার করা উচিত।

৩. যারা কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন, তাদের মনিটর সোজা রাখতে হবে।

৪. আপনার পিছন চেয়ারের পিছনে সোজা করে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পর পর উঠে দাঁড়ান।

৫. পায়ের সাহায্যে উঠে দাঁড়ান এবং বসুন।

৬. ব্যথা বাড়লে, ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারের আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন।

৭. ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে নেক ট্র্যাকশন এবং ঘাড়ের ব্যায়াম করলে আরাম পাওয়া যায়।

 

নোট: উপরে দেওয়া সমস্ত তথ্য সাধারণভাবে উপলব্ধ তথ্য এবং সামাজিক বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। subkuz.com এর সত্যতা নিশ্চিত করে না। কোনো ওষুধ ব্যবহার করার আগে subkuz.com একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার সুপারিশ করে।

Leave a comment