শীতকালে চোখের শুষ্কতা: কারণ, লক্ষণ এবং ঘরোয়া প্রতিকার

🎧 Listen in Audio
0:00

শীতকালে আপনার চোখের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। ঠান্ডা বাতাসের কারণে চোখে শুষ্কতা, জ্বালা এবং অ্যালার্জির মতো সমস্যা বাড়তে পারে, যা প্রায়শই ড্রাই আই সিনড্রোমের কারণ হয়। বিশেষ করে এই মৌসুমে চোখের শুষ্ক হওয়া সাধারণ ব্যাপার, কিন্তু এটি দূর করার জন্য কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। লাফটার যোগা এমন একটি উপায়, যা পার্কে মানুষজনকে করতে দেখা যায়। প্রাণ খুলে হাসলে শুধু শরীরের পেশী সক্রিয় হয় তাই নয়, রক্ত ​​সঞ্চালনও ভালো হয়, যা চোখের শুষ্কতা কমাতে পারে।

লন্ডনে হওয়া একটি গবেষণা অনুসারে, লাফটার যোগার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, আয়ুর্বেদও এই মৌসুমে চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কার্যকর উপায়ের পরামর্শ দেয়। চোখকে ঠান্ডা জল দিয়ে পরিষ্কার করা এবং ভিটামিন এ, ই এবং সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিস, বিপি, গ্লুকোমা বা ছানির মতো সমস্যা আছে, তাদের সময় মতো চিকিৎসা করা জরুরি। এছাড়াও, মোবাইল এবং ল্যাপটপের মতো গ্যাজেটগুলির অতিরিক্ত ব্যবহার এড়ানো উচিত, কারণ স্ক্রিন দেখার কারণে চোখের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। যদি এই অসাবধানতা চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে গ্লুকোমা এবং মায়োপিয়ার মতো সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, স্বামী রামদেবের যোগ এবং আয়ুর্বেদিক উপায়গুলি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে।

ড্রাই আই সিনড্রোম

·       বিশ্বে ৩৬ কোটির বেশি মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছেন।

·       শীতকালে চোখের সমস্যা বাড়তে পারে।

·       লাফটার যোগার মাধ্যমে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

·       শরীরে জলের অভাব হতে দেবেন না।

·       ঠান্ডা বাতাস এবং রোদ থেকে রক্ষা পেতে চশমা পরে বাইরে বের হন।

চোখের শত্রু

·       ডায়াবেটিস, ঠান্ডা বাতাস এবং দূষণের কারণে চোখের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পরে।

·       উচ্চ রক্তচাপ এবং স্নায়ুজনিত সমস্যার কারণেও চোখের সমস্যা বাড়তে পারে।

·       বেশি স্ক্রিন টাইম, ছানি, মায়োপিয়া এবং গ্লুকোমা থেকে চোখে সমস্যা হতে পারে।

চোখে শুষ্কতার কারণ

·       অশ্রু তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং এয়ার কন্ডিশনারের প্রভাব।

·       স্ক্রিন টাইম এবং বেশিক্ষণ পড়াশোনা করার কারণে চোখের উপর খারাপ প্রভাব পরে।

·       কম্পিউটারে বেশিক্ষণ কাজ করার কারণে চোখে শুষ্কতা ও ক্লান্তি দেখা যায়।

চোখের জ্যোতি বাড়ান

·       সকাল-সন্ধ্যা ৩০ মিনিট প্রাণায়াম করুন।

·       অনুলোম-বিলোম এবং ৭ বার ভ্রামরি করুন।

·       মহাত্রিফলা ঘৃত সেবন করুন, ১ চামচ দুধের সাথে মিশিয়ে নিন।

·       দিনে দুবার খাওয়ার পর এটি সেবন করুন।

আমলকি বাড়াবে চোখের জ্যোতি

·       অ্যালোভেরা এবং আমলকির রস পান করুন।

·       আমলকি খেলে চোখের জ্যোতি বাড়ে।

·       গোলাপ জলে ত্রিফলার জল মিশিয়ে চোখ ধুয়ে নিন।

·       মুখে সাধারণ জল ভরে ত্রিফলা-গোলাপ জল দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন।

দৃষ্টি হবে তীক্ষ্ণ, কী খাবেন

·       কিশমিশ এবং ডুমুর খান।

·       ৭-৮টি বাদাম জলে ভিজিয়ে খান।

চশমা কিভাবে সরবে

·       বাদাম, মৌরি এবং মিছরি খান।

·       এগুলিকে পিষে গুঁড়ো করে নিন।

·       রাতে গরম দুধের সাথে মিশিয়ে সেবন করুন।

চোখকে দিন আরাম

·       চোখে গোলাপ জল দিন।

·       পরিষ্কার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন।

·       আলুর টুকরা চোখের উপর রাখুন।

·       শসার টুকরা চোখের পাতার উপর রাখুন।

চোখ দেবে সঙ্গ, গ্রহণ করুন ঘরোয়া চিকিৎসা

১ চামচ সাদা পেঁয়াজের রস, ১ চামচ আদা-লেবুর রস, ৩ চামচ মধু এবং ৩ চামচ গোলাপ জল আমলকির রসের সাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি দিনে দুবার – সকালে ও সন্ধ্যায় – চোখে দুই ফোঁটা করে দিলে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে। এই উপায়টি বিশেষভাবে চোখকে সতেজ ও শান্ত করতে উপকারী বলে মনে করা হয়।

```

Leave a comment