ইউরিক এসিডের বৃদ্ধি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এর অধিক মাত্রা গাঠিয়ার (Arthritis) এবং যৌথ ব্যথার মতো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ইউরিক এসিড কন্ট্রোল করার জন্য মানুষ ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়ও অবলম্বন করে। চুকন্দরের রস ইউরিক এসিড কমাতে উপকারী, কিন্তু যদি এর সাথে কিছু বিশেষ জিনিস মিশিয়ে পান করা হয় তাহলে এটি আরও কার্যকর হয়। জেনে নিন চুকন্দরের রসের সাথে কোন কোন জিনিস মিশিয়ে শরীরে জমে থাকা ইউরিক এসিড দ্রুত বের করে দেওয়া যায়।
চুকন্দর ও লেবুর রস – দ্রুত কমাবে ইউরিক এসিড
লেবু ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস, যা ইউরিক এসিড কন্ট্রোল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুকন্দরের রসে লেবুর রস মিশালে এটি শরীরে এসিডিক ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কিডনিকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। এটি ইউরিক এসিডকে গলিয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়ার কাজে সহায়তা করে।
চুকন্দর ও গাজরের রস – শরীরকে করুন ডিটক্স
গাজর ও চুকন্দর উভয়তেই প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। গাজরের রস ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে যৌথে জমে থাকা ক্রিস্টাল গুলোকেও গলানোর কাজে কার্যকর। এটি প্রতিদিন পান করলে গাঠিয়া ও যৌথ ব্যথায়ও আরাম পাওয়া যায়।
আদা ও চুকন্দরের রস – প্রদাহ ও ব্যথায় দেবে আরাম
আদায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ থাকে, যা ইউরিক এসিডের কারণে হওয়া প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি চুকন্দরের রসের সাথে মিশিয়ে পান করলে এটি শরীরে প্রদাহ কমায় এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে, যার ফলে ইউরিক এসিড দ্রুত বের হয়ে যায়।
চুকন্দর ও কাঁকড়ার রস – হাইড্রেশন বাড়াবে, ইউরিক এসিড কমাবে
কাঁকড়া পানিতে ভরা থাকে এবং এটি মূত্রতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। চুকন্দর ও কাঁকড়ার রস মিশিয়ে পান করলে এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
কীভাবে তৈরি করবেন এই স্বাস্থ্যকর পানীয়?
এই সকল উপকরণ সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে রস তৈরি করুন:
• ১টি মাঝারি আকারের চুকন্দর
• ১ টুকরো আদা
• ১টি গাজর অথবা কাঁকড়া (আপনার পছন্দ অনুযায়ী)
• ১/২ লেবুর রস
• ১ গ্লাস পানি
এই সবকিছু ব্লেন্ড করে একটি মসৃণ রস তৈরি করুন এবং প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন।
ইউরিক এসিড থেকে মুক্তির সহজ উপায়
ইউরিক এসিড কন্ট্রোল করার জন্য চুকন্দরের রস একটি চমৎকার ঘরোয়া উপায়, কিন্তু এর সাথে লেবু, আদা, গাজর অথবা কাঁকড়া মিশিয়ে পান করলে এর উপকারিতা অনেকগুণ বেড়ে যায়। এটি শরীরকে ডিটক্স করতে, প্রদাহ কমাতে এবং যৌথ ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। যদি আপনি ইউরিক এসিডের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে এই স্বাস্থ্যকর পানীয়টি আপনার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন।