বাস্তু দোষ দূর করে ঘরে আনুন শান্তি ও সমৃদ্ধি

🎧 Listen in Audio
0:00

ঘরের দেওয়াল শুধুমাত্র ইট আর সিমেন্ট দিয়েই তৈরি হয় না, বরং সেখানে বাস করা মানুষের ভালোবাসা, শান্তি আর আনন্দেরও অবদান থাকে। কিন্তু যখন ঘরে প্রতিদিন ঝগড়া হয়, আর্থিক টানাপড়েন চলে, অথবা কোন সদস্যের শারীরিক অবস্থা বারবার খারাপ হয়, তখন ধরে নেওয়া যায় আপনার ঘরে বাস্তু দোষ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাস্তুশাস্ত্রের কিছু সহজ উপায় আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলি সম্পর্কে।

বাস্তু দোষের প্রভাব এবং তার লক্ষণ

যদি আপনার ঘরে কোনও কারণ ছাড়াই চাপ বজায় থাকে, সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন দেখা দেয় অথবা অর্থের অভাব বোধ হয়, তাহলে তার কারণ হতে পারে ঘরের বাস্তু দোষ। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, প্রতিটি দিক এবং কোণে একটি নির্দিষ্ট শক্তি থাকে, যা আপনার জীবনে প্রভাব ফেলে। যখন এই শক্তি নেতিবাচক হয়, তখন ঘরে অশান্তি এবং সমস্যা বেড়ে যায়।

বাস্তু উপায় যা ঘরে আনবে সুখ-শান্তি

১. প্রতিদিন মন্দিরে ধূপ জ্বালান: সকালে ঘরের মন্দিরে ধূপ জ্বালানোর ফলে ইতিবাচক শক্তির সংচার হয়। এতে নেতিবাচকতা দূর হয় এবং ঘরের সদস্যরা শান্ত ও আনন্দে থাকে।
২. ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিন: গন্দেরি নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। ঘর যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, তাহলে মা লক্ষ্মীর বাস হবে এবং নেতিবাচক শক্তি দূরে থাকবে।
৩. তুলসী গাছ লাগান: তুলসী গাছ বাস্তু দোষ দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকর বলে মনে করা হয়। তুলসীর সংস্পর্শে নেতিবাচকতা দূর হয় এবং ঘরে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. কাপুর জ্বালানোর উপায়: রাতে শোওয়ার আগে পিতলের পাত্রে কাপুর জ্বালিয়ে তার ধোঁয়া সারা ঘরে ছড়িয়ে দিন। এই উপায় ঘরের ঝগড়া এবং উত্তেজনাকে কমাতে সাহায্য করে।
৫. পিপুল গাছের সেবা করুন: ঘরের কাছে পিপুল গাছ লাগান এবং তার যত্ন নিন। পিপুল দেবতাদের বাস বলে মনে করা হয় এবং এতে ঘরে শান্তি বজায় থাকে।
৬. হলুদের জল ব্যবহার করুন: ঘরের প্রধান দরজায় হলুদের জল ছিটিয়ে দিন এবং দরজার উভয় পাশে জল ঢেলে দিন। এই উপায় নেতিবাচক শক্তিকে দূর করে এবং ঘরে ইতিবাচকতা আনে।

বাস্তু দোষ দূর করার সুবিধা

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এই উপায়গুলি অবলম্বন করার ফলে ঘরে সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি আসে। সম্পর্কের মধ্যে মধুরতা বৃদ্ধি পায় এবং পরিবারের সদস্যরা সুখী জীবনযাপন করে।

দাবিত্যাগ: এই তথ্য ধর্মীয় বিশ্বাস এবং লোক-ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে। কোনও উপায় অবলম্বন করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।

Leave a comment