পবন কল্যাণের তামিলনাড়ুর নেতাদের উপর তীব্র আক্রমণ: হিন্দি ডাবিংয়ের দ্বৈত মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন

পবন কল্যাণের তামিলনাড়ুর নেতাদের উপর তীব্র আক্রমণ: হিন্দি ডাবিংয়ের দ্বৈত মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন
সর্বশেষ আপডেট: 15-03-2025

অন্ধ্রপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ তামিলনাড়ুর নেতাদের উপর তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি হিন্দি ভাষার বিরোধীদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন যে তামিল নেতারা একদিকে হিন্দিকে প্রত্যাখ্যান করেন, অন্যদিকে হিন্দিতে তাদের ছবি ডাবিং করে আর্থিক লাভ করেন।

তামিলনাড়ু: অন্ধ্রপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ সম্প্রতি তামিলনাড়ুর নেতাদের উপর হিন্দি ভাষার প্রতি তাদের বিরোধের জন্য তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি এই বিরোধকে "পাকা খাঁটি" বলে অভিহিত করে প্রশ্ন তুলেছেন যে তামিলনাড়ুর নেতারা হিন্দির বিরোধ কেন করেন, যখন আর্থিক লাভের জন্য তাদের ছবিগুলি হিন্দিতে ডাবিং করার অনুমতি দেন।

জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে পবন কল্যাণের বড় বক্তব্য

পবন কল্যাণের এই বক্তব্য তখন এসেছে যখন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন কেন্দ্রীয় সরকারের উপর জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) এর মাধ্যমে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন যে এই নীতি শিক্ষা সংস্কারের পরিবর্তে "ভগবাকরণের" চেষ্টা। "তামিল নেতারা হিন্দি ভাষার বিরোধ করেন, কিন্তু যখন তাদের ছবিগুলি হিন্দিতে ডাবিং করার কথা আসে, তখন তাদের কোন সমস্যা হয় না। তারা বলিউড থেকে টাকা আয় করার জন্য হিন্দিকে গ্রহণ করেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য এর বিরোধ করেন। এটি কেন দ্বৈত মানদণ্ড?"

ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং ভারতের ঐক্যের উপর জোর

পবন কল্যাণ ভাষাগত বৈচিত্র্যকে ভারতের শক্তি বলে উল্লেখ করে বলেছেন যে আমাদের তামিল, তেলুগু, হিন্দি, সংস্কৃত সহ সকল ভাষাকে গ্রহণ করা উচিত। তিনি বলেছেন, "আমরা কেবলমাত্র দুটি ভাষায় সীমাবদ্ধ থাকতে পারি না। আমাদের আমাদের ভাষাগত বৈচিত্র্য বজায় রাখতে হবে, যাতে দেশে প্রেম ও ঐক্য বৃদ্ধি পায়।"

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বলেছেন যে NEP তামিলনাড়ুর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা। তিনি অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করছে এবং শিক্ষাগত অনুদানের পরিমাণও বন্ধ করে দিচ্ছে। স্ট্যালিনের মতে, এই নীতি ভারতের উন্নয়নের জন্য নয়, বরং হিন্দিকে উন্নীত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

NEP নিয়ে দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলিতে ক্রমাগত প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, পবন কল্যাণের এই বক্তব্যের পরে এই বিতর্ক আরও তীব্র হতে পারে। এখন দেখার বিষয় হল তামিলনাড়ুর নেতারা এ ব্যাপারে কী প্রতিক্রিয়া দেন এবং এই বিষয়টি কি আগামী নির্বাচনেও দেখা যাবে?

Leave a comment