কৈঁচি ধামের ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবস: নীম কারৌলি বাবার আশীর্বাদ লাভের পথ

🎧 Listen in Audio
0:00

প্রতি বছর জুন মাসে श्रদ্ধা ও ভক্তির সাথে কৈঁচি ধামের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলায় অবস্থিত এই ধাম ভক্তদের জন্য আস্থার কেন্দ্র। ১৫ জুন পালিত এই দিনটি নীম কারৌলি বাবার স্মৃতিতে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। যারা এই দিন ধামে যেতে পারেন না, তারাও ঘরে বসেই সহজ পদ্ধতিতে বাবার কাছে প্রার্থনা করে তাঁর আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন। আসুন বিস্তারিত জেনে নিই এই শুভ দিবসের গুরুত্ব এবং প্রার্থনা করার পদ্ধতি।

কী কৈঁচি ধাম এবং কেন পালিত হয় প্রতিষ্ঠা দিবস?

উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলায় অবস্থিত কৈঁচি ধাম একটি প্রধান আধ্যাত্মিক তীর্থস্থান, যার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহান সন্ত নীম কারৌলি বাবা। বাবাকে হনুমানজীর অনন্য উপাসক হিসেবে পরিচিত। তাঁর আধ্যাত্মিক শিক্ষা এবং জীবনদর্শন আজও অসংখ্য ভক্তের জন্য অনুপ্রেরণা ও मार्गदर्शनের উৎস।

প্রতি বছর ১৫ জুন কৈঁচি ধামের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। এই দিনটিই বাবা নিজেই এই স্থানের প্রতিষ্ঠার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। ২০২৫ সালে এই উৎসব ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবস হবে, যা দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত মিলে পালন করবে।

ধুমধাম করে হয় প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রস্তুতি

প্রতিষ্ঠা দিবসের আগেই আশ্রমে ব্যাপক সাজসজ্জা এবং ব্যবস্থা শুরু হয়ে যায়। মন্দির চত্বর ফুল ও প্রদীপ দিয়ে সজ্জিত হয়। অনেক সেবক ও স্বেচ্ছাসেবী ব্যবস্থাপনায় যুক্ত থাকেন যাতে আগত ভক্তদের কোন অসুবিধা না হয়।

এই দিন ভজন, কীর্তন, সমূহীয় প্রার্থনা এবং প্রসাদ বিতরণ হয়। ভক্তগণ বাবার দর্শন করে নিজেদের মনের শান্তি এবং জীবনের দিক নির্দেশনা পান।

ঘরে বসে কিভাবে নীম কারৌলি বাবার কাছে প্রার্থনা করবেন

যদি আপনি কোনও কারণে এই দিন কৈঁচি ধামে যেতে না পারেন, তাহলে ঘরে বসেই বাবার সাথে যুক্ত হতে পারেন। এর জন্য সকালে স্নান করে আপনার ঘরে একটি পরিষ্কার চৌকিতে নীম কারৌলি বাবার ছবি স্থাপন করুন।

তারপর প্রদীপ জ্বালান, ফুল অর্পণ করুন এবং বাবার ধ্যান করুন। এই সময় সত্যিকারের মনের সাথে আপনার মনের ইচ্ছা বাবার সামনে প্রকাশ করুন। মনে করা হয় যে, श्रদ্ধা দিয়ে করা এই প্রার্থনা বাবা অবশ্যই শুনেন এবং আশীর্বাদ করেন।

নীম কারৌলি বাবাকে প্রিয় মালপোয়া

প্রতিষ্ঠা দিবসে নীম কারৌলি বাবাকে মালপোয়ার ভোগ দেওয়া হয়। যদি আপনি ঘরে বসে পূজা করেন, তাহলে আপনিও মালপোয়া বানিয়ে তাঁকে ভোগ দিতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয়ভাবে ফলপ্রসূ নয়, বরং আপনার श्रদ্ধার প্রকাশও।

ভোগ দেওয়ার পর সেই প্রসাদ সকল পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করুন, যাতে ইতিবাচক শক্তির আদান-প্রদান হয় এবং পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।

মন্ত্র জপে পাওয়া যাবে আন্তরিক শুদ্ধি ও কৃপা

বাবাকে খুশি করার জন্য এই দিন একটি বিশেষ মন্ত্রের জপ করা অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। এই মন্ত্রটি হল:

"ময় হুম বুদ্ধি মলিন অতি শ্রদ্ধা ভক্তি বিহীন।

করু বিনয় কছু আপকি, হৌ সব হি বিধি দীন।।"

এই মন্ত্রটি শান্ত মনে জপ করলে ব্যক্তির মধ্যে থাকা নেতিবাচকতা দূর হয় এবং আত্মশক্তি বৃদ্ধি পায়।

আপনি চাইলে এই মন্ত্রটি প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় ১১ বা ২১ বার জপ করতে পারেন। এই অনুশীলন শুধুমাত্র মানসিক শান্তি প্রদান করে না, বরং মনে আত্মসমর্পণের भाव এবং আধ্যাত্মিক শক্তির অভিজ্ঞতাও দেয়।

নীম কারৌলি বাবা: বিশ্বজুড়ে পূজ্য সন্ত

নীম কারৌলি বাবা শুধুমাত্র ভারতে নয়, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশেও শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে পূজিত হন। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস এবং ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গও বাবার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।

তাঁর শিক্ষা, সেবা भाव এবং ভক্তিমার্গ অনুসরণের অনুপ্রেরণা আজও লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের দিক পরিবর্তন করছে।

বাবার কৃপা জীবনে আনে আশ্চর্যজনক পরিবর্তন

কৈঁচি ধামের প্রতিষ্ঠা দিবস শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং আত্মাকে জাগ্রত করার একটি দিব্য উপলক্ষ। আপনি সেখানে গিয়ে বাবার দর্শন করুন বা ঘরে বসে श्रদ্ধার সাথে পূজা করুন, নীম কারৌলি বাবার কৃপা প্রতিটি ভক্তের কাছে অবশ্যই পৌঁছায়।

ভক্তি, সেবা এবং श्रদ্ধা দিয়ে করা প্রার্থনা শুধুমাত্র মনের ইচ্ছা পূরণ করে না, বরং জীবনকে ইতিবাচকতা, শান্তি এবং শক্তি দিয়ে পূর্ণ করে।

এই ১৫ জুন কৈঁচি ধামের ভ্রমণ সম্ভব না হলেও, श्रদ্ধায় কোনো কমতি রাখবেন না। ঘরে বসেই বাবাকে সত্যিকারের মনের সাথে স্মরণ করুন, প্রার্থনা করুন এবং মালপোয়ার ভোগ অর্পণ করুন।

Leave a comment