বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এনডিএ লোকসভা নির্বাচনের মতোই সূত্র নির্ধারণ করেছে। জেডিইউ এবং বিজেপি সমান সংখ্যক আসন পাবে, এবং এলজেপি, এইচএএম এবং আরএলএসপিও যথোপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব পাবে।
Bihar Election: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনডিএ-র মধ্যে আসন বণ্টনের কৌশল প্রায় প্রস্তুত। জানা গেছে, এবারও লোকসভা নির্বাচনের সূত্রই অনুসরণ করা হবে। জেডিইউ এবং বিজেপির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে ছোট দলগুলিকেও যথোপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হবে।
লোকসভা নির্বাচনের সূত্রেই বিধানসভায় ভাগীদারিত্ব
বিহারে ২০২৫-এর আগে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এনডিএ (রাষ্ট্রীয় জনতান্ত্রিক গঠবন্ধন) এর প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করেছে। সূত্র মতে, এনডিএ-র অঙ্গ দলগুলির মধ্যে আসন বণ্টনের জন্য লোকসভা নির্বাচনের একই সূত্র অনুসরণ করা হবে। এর অর্থ হল বিজেপি, জেডিইউ, এলজেপি, এইচএএম এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার মধ্যে লোকসভায় যেভাবে সমন্বয় ছিল, সেই একই ধরণে বিধানসভায় আসন বণ্টন করা হবে।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৭, জেডিইউ ১৬, এলজেপি ৫ এবং এইচএএম এবং রালোমো (রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা) ১টি করে আসনে নির্বাচন করেছিল। এই ভিত্তিতেই এখন বিধানসভা নির্বাচনেও হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে।
জেডিইউ বিজেপি থেকে বেশি আসন পেতে পারে
লোকসভা নির্বাচনে যদিও বিজেপি জেডিইউ থেকে একটি আসন বেশি নিয়েছিল, কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে সমীকরণ কিছুটা বদলে যেতে পারে। সূত্রের মতে জেডিইউ ১০২-১০৩ টি আসন পেতে পারে, যখন বিজেপিকে ১০১-১০২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ জেডিইউ কিছুটা অগ্রাধিকার পেতে পারে।
বিহার বিধানসভায় মোট ২৪৩ টি আসন রয়েছে এবং এনডিএ যৌথভাবে সকল আসনে নির্বাচন করবে। বাকি প্রায় ৪০ টি আসন ছোট দলগুলিকে দেওয়া হবে।
এলজেপিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া হবে
লোকসভায় ৫ জন সংসদ সদস্যের সাথে শক্তিশালী উপস্থিতি রাখা লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-কে বিধানসভায়ও সমতাপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হবে। তাদের ২৫-২৮ টি আসনে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এই সংখ্যা গঠবন্ধনের মধ্যে তাদের শক্তি এবং ভূমিকাকে প্রতিফলিত করে।
এইচএএম এবং রালোমোও প্রতিনিধিত্ব পাবে
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন্দ্র রাম মঞ্ঝির দল হিন্দুস্তানী আওয়াম মোর্চাকে প্রায় ৬-৭ টি আসন দেওয়া যেতে পারে, যখন উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা ৪-৫ টি আসনে টিকিট পেতে পারে। এই কৌশল ছোট দলগুলিকে ক্ষুব্ধ করতে না দিয়ে এবং গঠবন্ধনে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা।