ইরাণ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে মাহবুবার প্রশংসা

ইরাণ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে মাহবুবার প্রশংসা
সর্বশেষ আপডেট: 11 ঘণ্টা আগে

ইরাণ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য: ইরাণ তার সততা ও দৃঢ়তার মাধ্যমে ইসরায়েলকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছে।

ইরাণ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি: ইরাণ ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা চলার মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করার পর, দেশ-বিদেশে নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর-এর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (PDP)-র প্রধান মুফতি মাহবুবা এই ঘটনাপ্রবাহের ওপর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং ইরাণের প্রশংসা করেছেন, এটিকে ইসলামিক দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ইরাণের নেতৃত্ব ও সেনাবাহিনীকে সম্মান

মুফতি মাহবুবা বলেছেন, তিনি ইরাণের জনগণ, তাদের সেনাবাহিনী এবং নেতৃত্বকে সম্মান করেন। তিনি বলেন, এই সংঘাতের মধ্যে ইরাণ যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য। তিনি আরও বলেন, ইরাণের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল না, না কোনো পারমাণবিক শক্তি ছিল না, কিন্তু তাদের কাছে ছিল “সততার” শক্তি। এটিই ছিল তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

সততা ও আত্মত্যাগের দৃঢ়তা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার

মুফতি মাহবুবা আরও বলেন, ইরাণ প্রমাণ করেছে যে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার অস্ত্রের শক্তি নয়, বরং সততা ও আত্মত্যাগের দৃঢ়তা। তিনি বলেন, ইরাণ এমনকি আমেরিকা-সহ সুপারপাওয়ারের সমর্থনপুষ্ট ইসরায়েলকেও झुकতে বাধ্য করেছে। এটি ইসলামিক দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তিনি বলেন, আমেরিকা হয়তো চাইবে না, কিন্তু ইরাণের সুনাম এই ঘটনাগুলোর পরে আরও বেড়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

মুফতি মাহবুবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে প্রশ্ন उठाते हुए বলেছেন, আমেরিকা ইসরায়েলের নির্দেশে ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া ও সিরিয়ার মতো দেশগুলোকে ধ্বংস করেছে। তারা গণতন্ত্রের নামে সেখানে হস্তক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন, একসময় আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বিশ্বজুড়ে সম্মান ছিল, কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেই সম্মান কমে গেছে। তিনি বলেন, ট্রাম্প যা বলেন আর যা করেন, তার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এটি বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট

ইরাণ ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল এবং বলেছিল যে যদি এখন হামলা না করা হয়, তবে তারা যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে। এই প্রতিক্রিয়ার পরেই আমেরিকা ছয় ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছে। মুফতি মাহবুবা বলেন, এটি স্পষ্ট করে যে আমেরিকা ও ইসরায়েল নিজেরাই চাইছিল যে এই সংঘাত থেমে যাক।

কাতারের ভূমিকা ও আঞ্চলিক ভারসাম্য

মুফতি মাহবুবা বলেন, এই সময় ট্রাম্পকে কাতারের মতো দেশের সাহায্য নিতে হয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে এখন আঞ্চলিক শক্তিগুলোর ভূমিকাও বাড়ছে। এটি এই অঞ্চলের জন্য একটি বরকতময় দিন। তিনি বলেন, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তখন আমেরিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে বলা যায়, আমেরিকা অনেক সময় যুদ্ধের সূচনা করে, সেটা সরাসরি হোক বা পরোক্ষভাবে।

Leave a comment