বিহার বিধানসভা নির্বাচন: ভোটার তালিকা আপডেটের কার্যক্রম শুরু

বিহার বিধানসভা নির্বাচন: ভোটার তালিকা আপডেটের কার্যক্রম শুরু
সর্বশেষ আপডেট: 12 ঘণ্টা আগে

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা আপডেট করছে। ১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছরের যুবক-যুবতীরা তালিকায় নাম যোগ করতে পারবেন। সব ২৪৩টি আসনেই পুনর্বিবেচনার অভিযান চলবে।

Bihar Voter List Update: বিহারে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ভারতের নির্বাচন কমিশন রাজ্য জুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধন ও আপডেট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অধীনে রাজ্যের সব ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিশেষ পুনর্বিবেচনা কর্মসূচী চালানো হবে। কমিশন এই কাজের জন্য ১ অক্টোবর ২০২৫ কে কাট-অফ তারিখ নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ এই তারিখ পর্যন্ত ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন এমন নাগরিকরা ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করার যোগ্য হবেন।

২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিশেষ পুনর্বিবেচনা কর্মসূচী

ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ অভিযানে রাজ্যের সকল বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকার পুনর্বিবেচনা করা হবে। এর উদ্দেশ্য হলো ত্রুটিমুক্ত ও নবীকৃত ভোটার তালিকা তৈরি করা, যাতে কোন যোগ্য নাগরিকই মতাদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। ২০২৫ সালের এটিই শেষ বিশেষ পুনর্বিবেচনা অভিযান হবে এবং এর ভিত্তিতেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

১ অক্টোবর হবে নির্ণায়ক তারিখ

কমিশনের মতে, ১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখকে ভিত্তি করে নতুন ভোটারদের নাম যুক্ত করা হবে। এই তারিখ পর্যন্ত ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন এমন নাগরিকরা তাদের নাম ভোটার তালিকায় নিবন্ধন করাতে পারবেন। এই নতুন তালিকাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ভোটার তালিকা হিসেবে গণ্য হবে।

৭.৮০ কোটির বেশি হয়েছে মোট ভোটার সংখ্যা

২০২৫ সালের শেষ আপডেট ভোটার তালিকা অনুযায়ী, বিহারে মোট ভোটার সংখ্যা ৭,৮০,২২,৯৩৩ হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী যুবক-যুবতীর সংখ্যা ৮,০৮,৮৫৭। এই সংখ্যা আগামী নির্বাচনে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। নির্বাচন কমিশন যুব ভোটারদের যোগ করার জন্য বিশেষ অভিযান এবং চারটি যোগ্যতা তারিখ নির্ধারণ করেছে।

চারটি যোগ্যতা তারিখ নির্ধারণ

নাগরিকদের সুবিধার জন্য কমিশন ১ জানুয়ারী, ১ এপ্রিল, ১ জুলাই এবং ১ অক্টোবর—এই চারটি তারিখকে যোগ্যতা তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ এই তারিখগুলো পর্যন্ত ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন এমন যুবক-যুবতীরা তাদের নাম ভোটার তালিকায় নিবন্ধন করাতে পারবেন। এতে যুবসমাজের সর্বাধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।

মনোনয়ন পর্যন্ত চলবে তালিকা সংশোধনের কাজ

যদিও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অবস্থার উপর ভিত্তি করে হবে, তবে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় সংশোধন এবং নাম যোগ করার কাজ মনোনয়ন প্রক্রিয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাবে। এতে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে নির্বাচনের পূর্বে প্রতিটি যোগ্য নাগরিকের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে।

অধিকারীদের দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব

নির্বাচন কমিশন সকল জেলাশাসক, নির্বাচক নিবন্ধন কর্মকর্তা এবং বুথ লেভেল অফিসারদের এই বিশেষ অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হবে।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচীও চালানো হয়েছে

এর আগে কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধন ও আপডেট নিয়ে কয়েক দফায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচীও আয়োজন করেছে। এই কর্মসূচীগুলিতে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সাথে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরও সামিল করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতিটি ইউনিট যাতে পুরোপুরি প্রশিক্ষিত হয় এবং দক্ষতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।

আনুষ্ঠানিক কর্মসূচী শীঘ্রই ঘোষণা

নির্বাচন কমিশন শীঘ্রই এই বিশেষ পুনর্বিবেচনা কর্মসূচীর বিস্তারিত তারিখ এবং ধাপে ধাপে কার্যক্রম সর্বসাধারণের কাছে প্রকাশ করবে। এর অধীনে বুথ লেভেল অফিসার (BLO) ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের সাথে যোগাযোগ করবে এবং যোগ্য নাগরিকদের ফর্ম পূরণ করিয়ে নিবে। এছাড়াও ভোটার তালিকা থেকে মৃত, স্থানান্তরিত অথবা দ্বিগুণ নাম অপসারণের প্রক্রিয়াও করা হবে।

Leave a comment