মার্কিন হাউস সরকারি ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে।
জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান, হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস – অর্থাৎ মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন সভার একটি বড় ধাক্কা এটি। এখন এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সরকারি ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না। নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে এটিকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ্লিকেশন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শুধু আমেরিকার টেক নীতিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেয় না, বরং মেটা-র মতো বড় কোম্পানির জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে।
বিষয়টি কী
হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার (Chief Administrative Officer - CAO) নির্দেশে, এখন সংসদ সংশ্লিষ্ট যেকোনো সরকারি ডিভাইস – সেটা মোবাইল ফোন হোক বা কম্পিউটার – হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করা যাবে না, এমনকি ওয়েব ভার্সনের মাধ্যমেও এটি ব্যবহার করা যাবে না।
রিপোর্ট অনুযায়ী, CAO-এর সাইবার নিরাপত্তা শাখা হোয়াটসঅ্যাপকে ‘উচ্চ ঝুঁকি’ সম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর প্রধান কারণ হলো অ্যাপটির ডেটা সিকিউরিটি নীতিগুলোতে স্বচ্ছতার অভাব।
বিকল্প তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে
সরকারি কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তে ব্যবহারের জন্য যে অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সুপারিশ করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- মাইক্রোসফট টিমস
- সিগন্যাল
- আইমেইল
- ফেসিটাইম
- ভারকার
এই বিকল্পগুলো অধিক স্বচ্ছ এবং ডেটা সুরক্ষার দিক থেকে বেশি নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
মেটা বিরোধিতা জানিয়েছে
মেটা, যা হোয়াটসঅ্যাপের প্যারেন্ট কোম্পানি, এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। কোম্পানির মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন যে হোয়াটসঅ্যাপে করা চরিত্রায়ন নিয়ে তারা একমত নন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে হোয়াটসঅ্যাপের সমস্ত মেসেজ ডিফল্টভাবে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড থাকে, যার ফলে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।
স্টোন বলেন যে অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের তুলনায় হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিক শক্তিশালী এবং এটি ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী মানদণ্ড অনুসরণ করে।
এটা কি হোয়াটসঅ্যাপের বিজ্ঞাপন নীতির সাথে সম্পর্কিত
दिलचस्प बात यह है कि कुछ ही दिन पहले वॉट्सऐप ने अपने प्लेटफॉर्म पर विज्ञापन शुरू करने की योजना की घोषणा की थी। हालांकि, मौजूदा प्रतिबंध का इस नीति से कोई प्रत्यक्ष संबंध नहीं बताया गया है। मगर विश्लेषकों का मानना है कि अमेरिका, जो मेटा का सबसे बड़ा बाजार है, वहां किसी भी तरह की सरकारी अस्वीकृति कंपनी के लिए बड़ा नुकसान साबित हो सकती है।
হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
যদিও মেটা ক্রমাগত তার প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার পক্ষে কথা বলে আসছে, তবে গত কয়েক বছরে হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে বিভিন্ন দেশ ডেটা শেয়ারিং এবং ট্র্যাকিং নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভারত সহ বিভিন্ন দেশে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর ডেটা নিয়ে তদন্তও হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন সভার কর্মীদের জন্য এই সিদ্ধান্ত হোয়াটসঅ্যাপের বিশ্বব্যাপী ভাবমূর্তি প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেখানে নিরাপত্তা सर्वोच्च অগ্রাধিকার।
কেন এই সিদ্ধান্তটি গুরুত্বপূর্ণ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্ন সভার (House of Representatives) কর্মীদের সংখ্যা কয়েক হাজার। এই কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে না পারার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সরকারগুলোর ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়।
এই সিদ্ধান্ত অন্যান্য দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ভাবাতে বাধ্য করতে পারে যে তারা কি একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে চায়।
এরপর কী হতে পারে
টেক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে হোয়াটসঅ্যাপের সাধারণ ব্যবহারকারীদের ওপর তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে, যদি অন্যান্য মার্কিন সংস্থা বা দেশ এই পথে হেঁটে থাকে, তবে হোয়াটসঅ্যাপের জন্য এটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এছাড়াও, মেটার উপর বিশ্বব্যাপী স্বচ্ছতা এবং ডেটা গোপনীয়তা নিয়ে আরও বেশি চাপ সৃষ্টি হতে পারে। ভবিষ্যতে মেটকে তার নিরাপত্তা নীতিগুলো আরও স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করতে হবে।