স্বর্ণ ও রূপার দামে জোরালো উত্থান: বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে

স্বর্ণ ও রূপার দামে জোরালো উত্থান: বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে
সর্বশেষ আপডেট: 7 ঘণ্টা আগে

আজকের সোনার ও রুপোর দাম, জুন ২৬: আজ ২৬ জুন তারিখে সোনার ও রুপোর वायदा ট্রেডিং আবার শক্তিশালী উত্থানসহ শুরু হয়েছে। উভয় ধাতুর वायदा মূল্যে আজ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (MCX)-এর উপর সোনার ও রুপোর উভয় वायদা মূল্যের শুরুতে বেশ ভালো উত্থান হয়েছে, যা বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

নয়াদিল্লি: বুধবারে সোনার ও রুপোর দামে আবার জোরালো বৃদ্ধি দেখা গেছে। দেশীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও এই দুটি মূল্যবান ধাতুর দাম বেড়েছে। মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (MCX)-এ সকালের ট্রেডিংয়ে সোনা ও রুপোর वायদা মূল্যে শক্তিশালী শুরু হয়েছে।

সোনা আবার महंगा हुआ, ৯৭৬০০-এর উপরে লেনদেন

আজ সকালের ট্রেডিংয়ে সোনার আগস্টা ডেলিভারির वायদা ৯৭৬০0 টাকা প্রতি ১০ গ্রামে শুরু হয়েছে, যা আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ৯৭৩৫৭ টাকার বেশি। খবর প্রকাশের সময় এই वायদা মূল্য ১২৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭৪ ৮০ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে লেনদেন হচ্ছিল।

দিনের ট্রেডিংয়ে সোনা ৯৭৬০0 টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম স্পর্শ করেছে এবং সর্বনিম্ন ৯৭৪১২ টাকা হয়েছে। এই বছর পর্যন্ত সোনা ১০১০৭৮ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে সর্বোচ্চ দাম তৈরি করেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বর্তমান উত্থান ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সোনা সম্ভবত অল টাইম হাই-এর কাছাকাছি পৌঁছতে পারে।

রুপোর দামেও ঊর্ধ্বগতি, ১০৬৫০0 টাকা স্পর্শ

সোনা ছাড়াও রুপোর দামেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। MCX-এ জুলাইয়ের वायদা চুক্তিতে রুপোর দাম আজ সকাল ৪২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১০৬৪০৫ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে। আগের দিনের ক্লোজিং দাম ছিল ১০৫৯৮০ টাকা। ট্রেডিংয়ের সময় এই वायদা মূল্য ৪২২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১০৬৪০২ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।

দিনের ট্রেডিংয়ে রুপোর দাম ১০৬৫০0 টাকা স্পর্শ করেছে এবং ১০৬৩২৯ টাকা পর্যন্ত নেমে এসেছে। এই বছরের শুরুতে রুপো তার সর্বোচ্চ দাম ১০৯৭৪৮ টাকা প্রতি কেজি করেছে। যদি এই ঊর্ধ্বগতি বজায় থাকে, তবে রুপো আবার এই রেকর্ড স্পর্শ করতে পারে।

আন্তর্জাতিক বাজারেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা

দেশীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও সোনার ও রুপোর দাম বেড়েছে। আমেরিকান কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (Comex)-এ সোনা ৩৩৫৭.৫০ ডলার প্রতি আউন্স দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে। আগের দিনের ক্লোজিং দাম ছিল ৩৩৫৩.১০ ডলার প্রতি আউন্স। খবর প্রকাশের সময় এই वायদা মূল্য ১২.৮০ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩৫৫.৯০ ডলার প্রতি আউন্স পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।

সোনা এই বছর ৩৫০৯.৯০ ডলার প্রতি আউন্স পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম স্পর্শ করেছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই বিষয়ে আগ্রহ বাড়ছে।

রুপোর ক্ষেত্রে Comex-এ দাম ৩৬.২২ ডলার প্রতি আউন্স দিয়ে শুরু হয়েছে। আগের দিনের ক্লোজিং দাম ছিল ৩৬.১১ ডলার। খবর প্রকাশের সময় রুপোর দাম ০.২১ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬.৩২ ডলার প্রতি আউন্স পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।

দাম কেন বাড়ছে

বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দাম বৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বিশ্ব বাজারে মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আমেরিকা ও ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ডলারের ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে।

চীনের মতো দেশগুলো ক্রমাগত তাদের স্বর্ণভাণ্ডার বৃদ্ধি করছে, যা বাজারে সোনার চাহিদা তৈরি করছে। রুপোর ক্ষেত্রে, সৌরশক্তি ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এর দাম বাড়ছে।

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন। সোনা ও রুপা ঐতিহ্যগতভাবে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যখন স্টক মার্কেটে অস্থিরতা দেখা যায়। তাই, এই দুটি মূল্যবান ধাতু বিনিয়োগকারীদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যদি এমনতেই থাকে, তবে আগামী সপ্তাহে সোনার ও রুপোর দামে আরও বাড়তি সম্ভাবনা রয়েছে।

দাম বাড়ার প্রভাব জুয়েলারি বাজারে

সোনার ও রুপোর দাম বাড়ার কারণে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব পড়ছে। বিয়ের মরসুমে দাম বাড়লে গ্রাহকরা কেনাকাটা কমিয়ে দিতে পারেন, যা জুয়েলার্সের বিক্রয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলে। তবে, কিছু গ্রাহক দাম বাড়লেও দ্রুত কেনাকাটা করছেন।

বর্তমানে জুয়েলারি শিল্পে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, কারণ গ্রাহকরা দামের স্থিতিশীলতার জন্য অপেক্ষা করছেন।

Leave a comment