শুভাবংশু शुक्ला: ভারতের প্রথম ভারতীয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে

শুভাবংশু शुक्ला: ভারতের প্রথম ভারতীয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে
সর্বশেষ আপডেট: 6 ঘণ্টা আগে

শুভাবংশু शुक्ला: ভারতের প্রথম ভারতীয় যিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভ্রমণ করছেন

রাকেশ শর্মা পর প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে পা রেখেছেন শুভংশু शुक्ला। তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (International Space Station) পরিদর্শনে যাওয়া প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তিনি फाल्कন-৯ রকেট ব্যবহার করে এই ঐতিহাসিক যাত্রা সম্পন্ন করেছেন।

फाल्कন-৯ রকেটে ঐতিহাসিক উৎক্ষেপণ

স্পেসএক্স-এর (SpaceX) फाल्कন-৯ রকেট ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে শুভংশু शुक्ला এবং আরও তিন নভোচারীকে নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। ভারতীয় সময় অনুসারে, এই উৎক্ষেপণটি দুপুর ১২:০১ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুভংশু শukulার সাথে আমেরিকা থেকে প্যাगी হুইটসন, হাঙ্গেরির টিবোর কাপু এবং পোল্যান্ডের স্लावোজ উজান্নস্কি-ভিসনিভস্কিও এই মিশনে অংশ নিয়েছেন।

৪১ বছর পর ভারতের প্রত্যাবর্তন

১৯৮৪ সালে রাকেশ শর্মা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সালেউট-৭ স্টেশনে আট দিন ধরে মহাকাশে অবস্থান করে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। আজ, ৪১ বছর পর শুভংশু শukulার মহাকাশ যাত্রা ভারতের মানব মহাকাশ মিশনে প্রত্যাবর্তন এনেছে। যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পর শুভংশু ঘোষণা করেছেন, “৪১ বছর পর ভারতের মানব মহাকাশ মিশনে প্রত্যাবর্তন ঘটছে। এটি আমার নয়, পুরো দেশের স্বপ্ন।”

শুভংশু শukulার trajetória এবং প্রস্তুতি

১০ অক্টোবর, ১৯৮৫ সালে লখনউতে জন্ম নেওয়া শুভংশু शुक्ला সিটি মন্টसरी স্কুল থেকে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমিতে (National Defence Academy) ভর্তি হন এবং ২০০৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দেন। তার কাছে মিগ-২৯, সুখোই-৩০, জাগুয়ার এবং ডর্নিয়ার-২২৮ এর মতো বিমান চালানোর ২০০০ ঘণ্টার বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।

তিনি ইন্ডিয়ান সায়েন্স ইনস্টিটিউট (Indian Science Institute), বেঙ্গালুরু থেকে এয়ারস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এম.টেক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৯ সালে তিনি উইং কমিন্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং একই বছর স্পেস ইয়ার্ড ইনস্টিটিউটের (Institute of Aerospace Medicine) আয়োজনে নভোচারী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হন।

২০২১ সালে তিনি রাশিয়ার গ্যাগارين কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে বেসিক অ্যাস্ট্রোনট ট্রেনিং সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ভারতের মহাকাশ যাত্রী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।২০২৪ সালে তিনি গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পান।

একটি স্বপ্ন যা শৈশবে দেখা হয়েছিল

শুভংশু শukulার বড় বোন সুচি শukulার মতে, শৈশবে একটি বিমান প্রদর্শনী তার মনে উড়ন্ত স্বপ্ন জাগিয়েছিল। সেই দিন তিনি বলেছিলেন যে তিনিও একদিন বিমান চালাবেন এবং মহাকাশের উচ্চতায় পৌঁছাবেন।

ভারত-কেন্দ্রিক পরীক্ষা এবং বিজ্ঞানকে উৎসাহিত করা

শুভংশু शुक्ला এই মিশনে মোট ৬০টি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অংশ নেবেন, যার মধ্যে সাতটি পরীক্ষা বিশেষভাবে ভারতের জন্য সম্পর্কিত। এই পরীক্ষাগুলি ভারতীয় বিজ্ঞান, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। যাত্রা শুরুর আগে তিনি বলেছিলেন যে দেশের তরুণ প্রজন্ম বিজ্ঞান এবং মহাকাশ গবেষণার প্রতি উৎসাহিত হবে।

বিশেষ ভারতীয় স্বাদও নিয়ে গেলেন

মহাকাশে ভ্রমণ করা প্রত্যেক নভোচারী তাদের দেশের একটি প্রিয় খাবার সাথে নিয়ে যান। শুভংশু शुक्ला আম রস, ভারতীয় কারি এবং ভাত নিয়ে গেছেন। অন্যান্য নভোচারীরাও তাদের নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার সাথে নিয়ে এসেছেন।

পরিবার এবং সমাজের গর্ব

শুভংশু শukulার বাবা-মা লখনউয়ের সিটি মন্টसरी স্কুলে এই ঐতিহাসিক উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখেছেন। তার বাবা শম্ভু দয়াল शुक्ला একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, এবং মা আশা शुक्ला একজন गृहिणी। শুভংশু পরিবারের নয়জন সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে ছোট এবং তিনি প্রথম সদস্য যিনি সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

গগনিয়ান থেকে পূর্বে ভারতের মহাকাশ পরিচিতি

শুভংশু शुक्लाকে ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ মিশন ‘গগনিয়ান’-এর জন্য ২০০৯ সালে নির্বাচন করা হয়েছিল। তিনি প্রশান্ত নায়ার, অঙ্গদ प्रताप এবং अजीत কৃষ্ণণের সাথে এই মিশনের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। গগনিয়ান মিশনের ২০২৭ সালে উৎক্ষেপণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুভłączের বিকল্প নভোচারী এবং বন্ধু প্রশান্ত নায়ার জানিয়েছেন, শুভংশুতে একাগ্রতা এবং নিষ্ঠা অনন্য। তিনি যে লক্ষ্য স্থির করেন, তা অর্জনের জন্য সম্পূর্ণ শক্তি নিয়োগ করেন। এই কারণেই তিনি আজ ভারতের প্রথম নভোচারী হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভ্রমণ করছেন।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই মিশনের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর अध्यक्षताয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সকলেই এই মুহূর্তটিকে ১৪০ কোটি ভারতীয়দের আকাঙ্ক্ষা এবং আত্মসম্মানের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

Leave a comment