মহারাষ্ট্র বিজেপি: নতুন সভাপতি নির্বাচনে কিরেন রিজিজু, দৌড়ে কে?

মহারাষ্ট্র বিজেপি: নতুন সভাপতি নির্বাচনে কিরেন রিজিজু, দৌড়ে কে?
সর্বশেষ আপডেট: 4 ঘণ্টা আগে

বিজেপি মহারাষ্ট্রে প্রদেশ সভাপতি পদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, বর্তমান প্রদেশ সভাপতি চন্দ্রশেখর বাবনকুলের জায়গায় কে নতুন মুখ আনবেন?

মহারাষ্ট্র বিজেপি সভাপতি: মহারাষ্ট্র ভারতীয় জনতা পার্টিতে নেতৃত্ব পরিবর্তনের গুঞ্জন আবারও বেড়েছে। বর্তমান প্রদেশ সভাপতি চন্দ্রশেখর বাবনকুলে আগস্ট ২০২২ সালে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং এখন তাঁর কার্যকালের পরে নতুন মুখের অভিষেক নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এই প্রসঙ্গে, দল একটি বড় পদক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে মহারাষ্ট্র প্রদেশ সভাপতির নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত, অর্থাৎ রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক হিসেবে নিযুক্ত করেছে।

এই সিদ্ধান্তের পরে, এটা প্রায় নিশ্চিত যে খুব শীঘ্রই বিজেপি মহারাষ্ট্রে তাদের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারে। বিশেষ বিষয় হল, মহারাষ্ট্রে বিজেপির প্রদেশ সভাপতির পরিবর্তন কেবল একটি সাংগঠনিক পরিবর্তন নয়, বরং আসন্ন বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের কৌশলগত দিকেরও অংশ।

রবীন্দ্র চহ্বানের দাবি সবচেয়ে জোরালো

নতুন প্রদেশ সভাপতির দৌড়ে সবচেয়ে বড় নাম হিসেবে রবীন্দ্র চহ্বানের নাম শোনা যাচ্ছে, যিনি বর্তমানে মহারাষ্ট্র বিজেপির কার্যকরী সভাপতি। রবীন্দ্র চহ্বানের রাজনৈতিক জীবন বেশ শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী। কল্যাণ-ডোমবিবলি থেকে চারবার বিধায়ক নির্বাচিত হওয়া চহ্বান, দেবেন্দ্র ফড়নবিসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

২০০০ সালে কল্যাণ-ডোমবিবলি নগর নিগমে কাউন্সিলর হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করা রবীন্দ্র চহ্বান ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ফড়নবিশ সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন। তখন তাঁকে বন্দর, চিকিৎসা শিক্ষা, তথ্য প্রযুক্তি এবং খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও ২০২২ এবং ২০২৪ সালে মহাযুতি সরকারে তিনি লোক নির্মাণ বিভাগের (সরকারি সংস্থাগুলি বাদে) মন্ত্রী ছিলেন।

আঞ্চলিক সমীকরণে ফিট চহ্বান

বিজেপির অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জানা যায়, রবীন্দ্র চহ্বানের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হল, তাঁর কোঙ্কন অঞ্চল, বিশেষ করে থানে, রায়গড় এবং পালঘর জেলার রাজনীতি সম্পর্কে গভীর ধারণা রয়েছে। এই অঞ্চলে বিজেপির সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে শিবসেনার উভয় গোষ্ঠীর সঙ্গে, এবং চহ্বানের আগ্রাসী রাজনৈতিক শৈলী দলের জন্য এখানে লাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে।

একজন সিনিয়র বিজেপি নেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রবীন্দ্র চহ্বানের ভূমি স্তরের সংযোগ এবং সংগঠনের উপর ভালো দখল রয়েছে। শিবসেনার বিরুদ্ধে যে ধরনের কৌশল প্রয়োজন, তাতে চহ্বান উপযুক্ত।

কবে ঘোষণা করা হবে?

সম্প্রতি, চন্দ্রশেখর বাবনকুলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে দলের নেতৃত্ব আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারে। বাবনকুলে অহিল্যানগরে একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে শীঘ্রই নতুন প্রদেশ সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। এই বিবৃতিটিও স্পষ্ট করে যে দলের অভ্যন্তরে এই বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে এবং কেবল আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে।

বিজেপির মহারাষ্ট্রে প্রদেশ সভাপতির পরিবর্তন কেবল সাংগঠনিক পরিবর্তন নয়, বরং একটি কৌশলগত সিদ্ধান্তও হিসাবে দেখা হচ্ছে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পরে, বিজেপি ২০২৯ সাল পর্যন্ত রোডম্যাপ তৈরি করার দিকে নজর রাখছে এবং মহারাষ্ট্রে শক্তিশালী নেতৃত্ব তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। চন্দ্রশেখর বাবনকুলে বর্তমানে দেবেন্দ্র ফড়নবিস সরকারে রাজস্ব মন্ত্রী, এমন পরিস্থিতিতে প্রদেশ সভাপতির পদের জন্য নতুন মুখের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছিল।

Leave a comment