নির্বাচনের স্বচ্ছতা: প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

নির্বাচনের স্বচ্ছতা: প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা
সর্বশেষ আপডেট: 4 ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশে 2024 সালের নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সহ 13 জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ: বাংলাদেশে 2024 সালের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে ওঠা বিতর্ক এবার গুরুতর আইনি মোড় নিয়েছে। রাজধানী ঢাকায় দেশের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। যে সকল কর্মকর্তাদের নাম উঠে এসেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, কে এম নুরুল হুদা এবং সব মিলিয়ে 13 জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।

2014 সাল থেকে 2024 সাল পর্যন্ত সংঘটিত কথিত অনিয়ম

এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা 2014, 2018 এবং 2024 সালের সাধারণ নির্বাচনে গুরুতর অনিয়ম করেছেন। পুলিশ তাঁদের এই সপ্তাহের শুরুতে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (Special Investigation Team) গঠন করা হয়েছে, যা এই সকলের ভূমিকা গভীরভাবে খতিয়ে দেখবে।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল 2024 সালের সাধারণ নির্বাচন

2024 সালের সাধারণ নির্বাচন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়েছিল। যদিও এই নির্বাচনে সকল প্রধান বিরোধী দল অংশগ্রহণ করেনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহ অন্যান্য দল নির্বাচন প্রক্রিয়া বয়কট করে একে একতরফা ও পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে আগে থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। এবার প্রাক্তন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সেই আশঙ্কাকে আরও জোরালো করেছে।

বিএনপির অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ

এই মামলাটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির অভিযোগ, এই কর্মকর্তারা শুধু নির্বাচনে কারচুপি করেননি, বরং বিরোধী নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তারও করিয়েছেন। তাঁদের মতে, পুরো নির্বাচনটি একটি সুপরিকল্পিতschematic-এর অধীনে হয়েছিল, যেখানে বিরোধী দলের ভূমিকা দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

প্রাক্তন পুলিশ প্রধানও গ্রেপ্তার

এই মামলায় শুধু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাই নন, ঢাকার প্রাক্তন পুলিশ প্রধানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতাসীন দলের নির্দেশে কাজ করে নির্বাচনের সময় বিরোধী কর্মীদের উপর ব্যবস্থা নিয়ে স্বাধীনতাকে ব্যাহত করেছেন।

শেখ হাসিনার নামও আলোচনায়

এই মামলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও শোনা যাচ্ছে। বিরোধী দলের অভিযোগ, শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ মিলে নির্বাচনের নিরপেক্ষতাকে প্রভাবিত করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো আনুষ্ঠানিক ভূমিকা বা বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

বিশেষ তদন্ত দল পুরো মামলার তদন্ত করবে

ঢাকা পুলিশ এই পুরো মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে। এই দল নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দিক গভীরভাবে খতিয়ে দেখবে। এতে দেখা হবে, এই কর্মকর্তারা কোন পরিস্থিতিতে কী কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং সেগুলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী ছিল কিনা। দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a comment