শনিবার বিহারের ২৬টি জেলায় নগর নিগম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমবারের মতো মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ই-ভোটিং হচ্ছে। ৪০২৮০ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে।
বিহার নগর নিগম নির্বাচন: বিহারে শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নগর নিগম নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো ই-ভোটিং-এর প্রয়োগ করা হচ্ছে। এটি দেশের প্রথম সুযোগ, যখন কোনো নির্বাচনে ভোটাররা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দেবেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এর জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে এবং ই-ভোটিং সফল করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
কারা ই-ভোটিং করতে পারবেন
এবার নির্বাচন কমিশন ই-ভোটিং-এর সুবিধা প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী, গুরুতর অসুস্থ রোগী, গর্ভবতী মহিলা এবং প্রবাসী ভোটারদের জন্য চালু করেছে। এই শ্রেণীর ভোটারদের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ৪০২৮০ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন।
ই-ভোটিং-এর সময়
ই-ভোটিং-এর জন্য সময় সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোটাররা তাদের মোবাইল অ্যাপ থেকে এই সময়ে যে কোনও স্থান থেকে ভোট দিতে পারবেন। এই সুবিধাটি বিশেষভাবে তাদের জন্য, যারা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন না।
ঐতিহ্যবাহী ভোটগ্রহণের সময়
অন্যদিকে, অন্যান্য ভোটাররা ইভিএম (EVM) এর মাধ্যমে ভোট দেবেন। ঐতিহ্যবাহী ভোটগ্রহণের সময় সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত নির্ধারিত করা হয়েছে। এর জন্য ভোট কেন্দ্রগুলিতে সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোথায় কোথায় ভোট হচ্ছে
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২৬টি জেলার ৪২টি নগর নিগমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। মোট ১৩৬টি পদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মধ্যে ১২১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ৮ জন উপ মুখ্য কাউন্সিলর এবং ৭ জন মুখ্য কাউন্সিলর রয়েছেন।
কিছু পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন
নয়টি পদে ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে, পাটনা হাইকোর্টের নির্দেশে তিনটি পদের নির্বাচন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
মোট ভোটারের সংখ্যা
এবারের নির্বাচনে মোট ৩,৭৯,৬৭৪ জন ভোটার অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ১,৯৭,১২৯ জন পুরুষ, ১,৮২,৫৩৯ জন মহিলা এবং ১২ জন অন্যান্য শ্রেণীর ভোটার রয়েছেন। এই সংখ্যাটি ইঙ্গিত করে যে নগর নিগম নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক নাগরিক অংশ নিচ্ছেন।
নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতি
ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৪৮৯ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং ২,১২১ জন ভোট কর্মী নিয়োগ করেছে। এছাড়াও ১,৫০২ জন পুলিশ অফিসার ও ৫,০১7 জন পুলিশ সদস্যকে ভোট কেন্দ্রগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে।
লাইভ ওয়েব কাস্টিং-এর ব্যবস্থা
ভোট কেন্দ্র থেকে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য লাইভ ওয়েব কাস্টিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে কোনো প্রকার অনিয়ম হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকবে।