হিমালয় প্রদেশ আবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে। বুধবার, রাজ্যের কুলু এবং কাংড়া জেলায় মেঘ ফাটল এবং আকস্মিক বন্যার কারণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। একদিকে, আকস্মিক বন্যার কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, অন্যদিকে প্রায় ২০ জন নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হিমালয় মেঘ ফাটল: গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে হিমালয় প্রদেশে দুর্যোগ নেমে এসেছে। বুধবার, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মেঘ ফাটল, আকস্মিক বন্যা এবং ভারী বৃষ্টির কারণে স্থানীয় জনজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাংড়া জেলায় মনুনি খদ্দের থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকার কাছে শ্রমিক কলোনিতে বসবাসকারী প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিকের খनियाরা মনুনি খদ্দেরে জলের স্তর দ্রুত বাড়ার কারণে ভেসে যাওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
শ্রমিক কলোনিতে আকস্মিক বন্যা, বহু নিখোঁজ
কাংড়া জেলার धर्मशालाয়ের কাছে খनियाরা মনুনি খদ্দেরে বুধবার ভোরে হঠাৎ করে জলের প্রবাহ মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকার কাছে শ্রমিক কলোনিতে বসবাসকারী ১৫-২০ জন শ্রমিক এই বন্যায় ভেসে যান। জানা যায়, ভারী বৃষ্টির কারণে প্রকল্পের কাজ আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং শ্রমিকরা অস্থায়ী তাঁবুতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই মনুনি খদ্দেরে জলস্ফীতি হয় এবং বন্যার জল কলোনিতে প্রবেশ করে।
রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (SDRF), স্থানীয় প্রশাসন এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং অন্যান্য নিখোঁজদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু শ্রমিক নিরাপদে আছেন এবং তাদের সময়মতো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কুলুতে মেঘ ফাটলের তিনটি ঘটনা
কুলু জেলার সঁজ, রেহলা বিয়াল এবং শিলাगढ़ (গড়সা घाटी)-এ বুধবার সকালে মেঘ ফাটলের তিনটি পৃথক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলির কারণে আকস্মিক বন্যার ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। রেহলা বিয়ালে তিনজন ব্যক্তি তাদের বাড়ি থেকে জিনিসপত্র বের করার চেষ্টা করার সময় বন্যার কবলে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যান।
কুলুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক अश्विनी কুমার জানিয়েছেন, জেলার মানালীর এবং বানজারের মতো অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা যাওয়ায় রাস্তাঘাট এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানালীর চণ্ডিগড় জাতীয় সড়ক আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যদিও বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
ব্যাস এবং সত্লুজ নদীর জলস্তরে বৃদ্ধি
রাজ্যের প্রধান নদী ব্যাস এবং সত্লুজের জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। लाहौल-स्पीতি জেলার কাজা থেকে সমদোহ পর্যন্ত রাস্তা বহু স্থানে ভূমিধসের কারণে এবং নালার জলস্ফীতির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। ভারী বৃষ্টি এবং ক্রমাগত ভূমিধসের কারণে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পালमपुरে সবচেয়ে বেশি 145.5 মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যেখানে जोगিদারनगर অঞ্চলে 113 মিমি, নাহনে 99.8 মিমি, বাজনাথে 85 মিমি এবং পাওটা সাহিবে 58.4 মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও धर्मशाला, কাংড়া, নারকंडा, আম্ব এবং কাসৌলি সহ অন্যান্য অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (IMD) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাঁচটি জেলায় - চঁবা, কাংড়া, মণ্ডি, শিমলা এবং সিরমৌর - বন্যা এবং ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে।