অতিরিক্ত কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে, তবে কিছু সঠিক অভ্যাস এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
কোলেস্টেরলের গুরুত্ব
শরীরে কোলেস্টেরল হরমোন ও কোষ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। তবে এটি দুটি প্রকার—HDL (ভালো কোলেস্টেরল) এবং LDL (খারাপ কোলেস্টেরল)—এবং এর পরিমাণ অতিরিক্ত হলে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের ক্ষতিকারক প্রভাব
অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হৃদরোগ, অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৮টি সকালের অভ্যাস
প্রতিদিন সকালে কিছু সঠিক অভ্যাস কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে। এখানে ৮টি প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, যা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিক থেকে উপকারিতা দিবে।
লেবু জল দিয়ে দিন শুরু করুন
সকালে খালি পেটে গরম লেবু জল শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে।
ফাইবার সমৃদ্ধ প্রাতঃরাশ
প্রাতঃরাশে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন ওটস, আপেল বা কলা খাওয়া শরীরের কোলেস্টেরল শোষণ কমায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
সকালে এক মুঠো বাদাম খেলে এটি শরীরের ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সহায়ক।
হাঁটার অভ্যাস
প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং
প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
গ্রিন টি পান করুন
কফির পরিবর্তে গ্রিন টি খাওয়া খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি ক্যাটেচিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
সকালে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এসব খাবার শরীরে অতিরিক্ত চিনি এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়াতে পারে, যা কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়।
ধূমপান ছেড়ে দিন
ধূমপান খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। তাই ধূমপান ত্যাগ করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
আপনার স্বাস্থ্যবান জীবন শুরু করুন
এই সহজ অভ্যাসগুলি প্রতিদিন আপনার সকালের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করুন এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সুস্থ থাকুন!