নতুন একটি গবেষণা অনুসারে, ধীরে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউরোকগনিটিভ অ্যান্ড ফিজিক্যাল ফাংশন দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা খুব ধীরে হাঁটেন, তারা সময়ের আগে বার্ধক্যের শিকার হতে পারেন। এছাড়াও, ধীরে হাঁটার কারণে পেশীর শক্তি কমে যেতে পারে, যা ফিটনেস স্তরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁটার সময় গতির দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি, যাতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
দ্রুত হাঁটা থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, দ্রুত গতিতে হাঁটলে স্বাস্থ্যের উপর ভালো প্রভাব পড়ে। দ্রুত হাঁটা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও, দ্রুত হাঁটা ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে, যা সামগ্রিক শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক।
হাঁটা বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে ধীর করে
গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, যারা নিয়মিত দ্রুত হাঁটেন, তারা তাদের বয়সের তুলনায় অনেক বেশি তরুণ দেখায়। হাঁটা বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে ধীর করতে পারে, যেখানে হাঁটা না করলে বয়স বেশি দেখাতে পারে।
দৌড়ানো থেকেও দারুণ উপকার পাওয়া যায়
দৌড়ানোও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দ্রুত হাঁটা বা দৌড়ানো হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে, শরীরকে সতেজ রাখে এবং সামগ্রিক শারীরিক ফিটনেসের উন্নতি ঘটায়। নিয়মিত হাঁটা এবং দৌড়ানোর মাধ্যমে শরীর আরও সক্রিয় থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পরিশেষে বলা যায়, দ্রুত হাঁটা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যেখানে ধীরে হাঁটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত।