মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: খাদ্যের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়ান

🎧 Listen in Audio
0:00

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য খাবার খান, কম্পিউটারের চেয়েও দ্রুত চিন্তা করুন। আজই আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন!

যদি আপনি কম্পিউটারের চেয়েও দ্রুত চিন্তা করতে পারেন এমন একটি মস্তিষ্ক চান, তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাবার যোগ করুন।

 

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষয় হয় এবং কোষগুলি দুর্বল হয়, যার ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়। এটি মূলত বয়স্কদের জন্য উদ্বেগের বিষয় ছিল, কিন্তু আজকাল শিশু এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদেরও এ সমস্যা থেকে মুক্তি নেই। মূল কারণগুলির মধ্যে রয়েছে খাদ্যের অসমতা, শিক্ষাগত ও কর্মসংক্রান্ত চাপ এবং বিষণ্ণতা, যা স্মরণশক্তিকে দুর্বল করে। স্মৃতি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ; আমাদের মস্তিষ্ক থেকে বিষয়গুলি হারিয়ে গেলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টির অভাব এবং বয়সের প্রভাবের কারণে স্মরণশক্তি কমে যেতে পারে। স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার কিছু উপায় এখানে দেওয়া হল।

 

আজ আমরা আপনাকে কিছু এমন খাবারের সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছি যা আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং স্মরণশক্তি বাড়াতে পারে।

 

*কুমড়ো বীজ:*

আপনি কুমড়োর খাবার এবং মিষ্টান্ন উপভোগ করতে পারেন, কিন্তু কুমড়ো বীজের অনেক উপকারিতা সম্পর্কে আপনি জানেন কি? কুমড়ো বীজ খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। এই বীজগুলিতে জিঙ্ক থাকার কারণে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং চিন্তাশক্তি উন্নত করে। শিশুদের স্মরণশক্তি বাড়াতে তাদের খাদ্য তালিকায় এটি যোগ করা উপকারী।

 

ডার্ক চকলেট:

ডার্ক চকলেট আজকাল সুপারফুডের মধ্যে অন্যতম। ডার্ক চকলেটের প্রতিটি টুকরো আপনার হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেটে বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি ও খনিজ, অলিইক অ্যাসিড, স্টিয়ারিক অ্যাসিড এবং প্যালমিটিক অ্যাসিড থাকে। এটি রক্তচাপ ও রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণকারী জৈব যৌগে সমৃদ্ধ, যা হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

 

মাছ:

মাছ, বিশেষ করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ তৈলাক্ত মাছ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মাছের তেলে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুদের মস্তিষ্ক ও চোখের বিকাশে সাহায্য করে। ঠান্ডা জলের মাছ বিশেষ করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এবং এগুলিকে "মস্তিষ্কের খাবার" বলা হয়।

সবুজ শাকসবজি:

সবুজ শাকসবজি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬, ই এবং ফোলেটে সমৃদ্ধ। ফোলেট স্মরণশক্তি এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ করে উপকারী, কারণ এর অভাব স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এবং আলঝেইমারের মতো রোগের কারণ হতে পারে।

 

বাদাম:

বাদাম খাওয়ার ফলে স্মরণশক্তি বাড়ে। প্রতিদিন অন্তত ১১-১২টি বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত উপকারিতা হয় না, তাই পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। নাশতায় অথবা দুধের সাথে বাদাম খাওয়া যায়। গরমের দিনে খাওয়ার আগে জলে ভিজিয়ে রাখলে ঠান্ডা থাকে।

 

বীজ:

উচ্চ পুষ্টিগুণের কারণে বীজ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে ভিটামিন ই, তামা এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো অনেক পুষ্টি থাকে যা মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে।

 

গ্রিন টি:

গ্রিন টিতে ক্যাফেইন থাকে, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে এন্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে যা বুদ্ধি, কার্যক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগকে উন্নত করে। প্রতিদিন ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শান্তিও মেলে।

 

ড্রাগন ফল:

ড্রাগন ফল পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং স্মরণশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এতে পলিফেনল রয়েছে যা মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি রোধে সাহায্য করে।

 

জ্যামুন:

ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং ব্ল্যাকবেরির মতো জ্যামুন ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মস্তিষ্কের কোষকে শক্তিশালী করে এবং স্মরণশক্তি বাড়ায়।

 

এই খাবারগুলি আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করা এবং স্মরণশক্তি বাড়ানো সম্ভব।

দ্রষ্টব্য: উল্লেখিত সকল তথ্য সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ তথ্য এবং জনবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে, subkuz.com এর সঠিকতা নিশ্চিত করে না। কোনও ঔষধ বা চিকিৎসা ব্যবহার করার আগে subkuz.com বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

Leave a comment