চন্দন গাছে ঔষধি গুণ এবং সুগন্ধ থাকে। এটিকে সমস্ত গাছের মধ্যে সবচেয়ে সুগন্ধিযুক্ত বলে মনে করা হয়। বলা হয়, চন্দন গাছ যত পুরনো হয়, তা থেকে তৈরি তেল তত বেশি গুণসম্পন্ন এবং উপকারী হয়। প্রাচীনকাল থেকেই স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য, বিশেষ করে ত্বক ও চুলের সমস্যার জন্য চন্দন ব্যবহার করা হয়ে আসছে। তবে, চন্দন তেল সব সমস্যার সমাধান নয়, তাই গুরুতর সমস্যার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এই নিবন্ধে, আমরা চন্দন তেলের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
চন্দন তেলের উপকারিতা-
চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়:
চন্দন তেল চুলের গোড়ায় জমা হওয়া মাস্ট সেল সরিয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক হতে পারে।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করে:
চন্দন তেলে স্যান্টালল নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত চাপ কমিয়ে অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। চন্দন তেল দিয়ে মাথার ম্যাসাজ করে ঘুমের অভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মানসিক চাপ কমায়:
চন্দন তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে উদ্বেগ এবং মানসিক চাপের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
ফোলা কমায়:
চন্দন তেলে অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের ফোলাভাব কমাতে সহায়ক। এটি ত্বকের যে কোনও ধরনের ফোলা কমাতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়:
চন্দন তেল স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে উপকারী। এটি মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখে এবং মানসিক চাপ ও বিষণ্নতার সমস্যা দূর করে। ম্যাসাজ বা সেবনের মাধ্যমে এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
চন্দন তেলের ব্যবহার
এটি শরীরকে ঠান্ডা করে এবং রেচনতন্ত্রের বাধা দূর করে, যার ফলে মূত্রনালী থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।
শরীরের দুর্গন্ধের সমস্যা কমাতে স্নানের জলে এর কয়েক ফোঁটা যোগ করতে পারেন।
স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য, তুলোতে দুই ফোঁটা নিয়ে শুঁকলে উপকার পাওয়া যায়।
চন্দন তেলের অপকারিতা
গর্ভবতী মহিলা বা স্তন্যদানকারী মায়েরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই এটি ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত পরিমাণে চন্দন তেল ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
সরাসরি এটি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন, খাবারের সাথে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
সংবেদনশীল ত্বকের লোকেরা এটি ব্যবহার করবেন না। নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
এতে থাকা আলফা স্যান্টাললের কারণে এটি খুব কম পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে চুলকানি এবং জ্বালা হতে পারে।