আষাঢ় মাস: ধর্মীয় গুরুত্ব, পূজা ও অন্যান্য বিষয়াবলী

🎧 Listen in Audio
0:00

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, আষাঢ় মাস বর্ষের চতুর্থ মাস, যা বিশেষ করে ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গীকৃত বলে মনে করা হয়। এই মাসটি শুধুমাত্র বর্ষাঋতুর সূচনা নয়, বরং ধার্মিক সাধনা, দান-পুণ্য এবং ঈশ্বরভক্তির জন্যও অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত। এই বছর আষাঢ় মাস শুরু হবে ২২ জুন ২০২৫ থেকে এবং চলবে ২১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত। এই মাসটিকে দেবতাদের শয্যা কাল (চাতুর্মাস) এর সূচনা হিসেবেও দেখা হয়।

আষাঢ় মাসের ধর্মীয় গুরুত্ব কী?

আষাঢ় মাস হিন্দু পঞ্জিকার চতুর্থ মাস, যা ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই মাসটি বর্ষাঋতুর সূচনা বুঝায় এবং ভগবান বিষ্ণুর পূজার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় দেবশয়নী একাদশী আসে, যখন ভগবান বিষ্ণু চার মাসের যোগনিদ্রায় চলে যান। এই মাসে করা ব্রত, দান, পূজা এবং জপের ফল অনেক গুণ বেশি পাওয়া যায়। আষাঢ় মাস আধ্যাত্মিক সচেতনতা, পবিত্রতা এবং সাধনার জন্য উত্তম সময় বলে মনে করা হয়।

তুলসী পূজন – হরিভক্তির প্রথম সিঁড়ি

আষাঢ় মাসে তুলসী পূজন বিশেষ ফলদায়ক হয়।

  • প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় তুলসীর কাছে দীপ জ্বালান।
  • তুলসীতে জল অর্পণ করুন এবং 'ॐ তুলস্যৈ নমঃ' মন্ত্রের জপ করুন।
  • তুলসীর কাছে বসে শ্রীহরির নাম স্মরণ করুন।

লাভ: इससे घर में पॉजिटिव ऊर्जा आती है, रोग-दोष दूर होते हैं और लक्ष्मी का वास होता है।

কলার গাছের পূজা – বিষ্ণুর প্রতীক

কলার গাছকে ভগবান বিষ্ণুর রূপ বলে মনে করা হয়।

  • প্রতিটি বৃহস্পতিবার কলার গাছে জল অর্পণ করুন।
  • হলুদ এবং চন্দন দিয়ে গাছে তিলক করুন এবং দীপ জ্বালান।
  • কলার গাছের প্রদক্ষিণ করুন এবং ভগবানের কাছে পরিবারের সুখ-শান্তির প্রার্থনা করুন।

লাভ: এই উপায় আর্থিক সমৃদ্ধি এবং পরিবারে সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।

শ্রীহরি মন্ত্রের জপ – আত্মিক শুদ্ধি এবং কৃপা লাভ

এই পবিত্র মাসে 'ॐ নমো ভগবতে বাসুদেবায়' মন্ত্রের প্রতিদিন ১০৮ বার জপ করুন।

  • সকালে স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করুন।
  • শান্ত পরিবেশে আসনে বসে জপ করুন।

লাভ: इससे मानसिक शांति मिलती है, नकारात्मक ऊर्जा का नाश होता है और हरि कृपा सहज प्राप्त होती है।

হলুদ বর্ণের বস্তুর দান – পুণ্য এবং শুভতার সংযোগ

আষাঢ় মাসে হলুদ বর্ণের বস্তুর দান অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, যেমন –

  • চিনার ডাল
  • হলুদ বর্ণের বস্ত্র
  • হলুদ
  • কলা
  • হলুদ মিষ্টান্ন ইত্যাদি

লাভ: इससे राहु-गुरु के दोष शांत होते हैं, बुरी नजर से रक्षा होती है और भगवान विष्णु की कृपा प्राप्त होती है।

রান্নাঘরে রাখুন হলুদের পিণ্ড – ঘরে ধন ও অন্নের বৃদ্ধি

শাস্ত্র অনুযায়ী,

  • রান্নাঘরে হলুদের পিণ্ড রাখা শুভ বলে মনে করা হয়।
  • এই উপায় বিশেষ করে আষাঢ় মাসে করলে ঘরে কখনোই অন্ন ও ধনের অভাব হয় না।

লাভ: এই উপায় রান্নাঘরে সমৃদ্ধি বজায় রাখে এবং রান্নাঘরে নেতিবাচকতা দূর করে।

একাদশী ব্রত রাখুন – শ্রীহরিকে সমর্পণের প্রতীক

আষাঢ় মাসের দেবশয়নী একাদশী এই বছর ৬ জুলাই ২০২৫ পড়ছে।

  • এই ব্রত ভগবান বিষ্ণুর যোগনিদ্রায় যাওয়ার দিন বলে মনে করা হয়।
  • এই দিন ব্রত রেখে, তুলসীর সামনে দীপ জ্বালিয়ে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করুন।

লাভ: এই ব্রত পাপের প্রায়শ্চিত্ত এবং পুণ্য লাভের জন্য শ্রেষ্ঠ সুযোগ।

দীপদান এবং কথা শ্রবণ – ঘরে বাড়বে সাধ্বিক পরিবেশ

  • আষাঢ় মাসে প্রতিদিন সন্ধ্যায় দীপ জ্বালান এবং হরি কথা শুনুন বা পড়ুন।
  • ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণুসহস্রনাম বা গীতার পাঠ বিশেষ ফলদায়ক হয়।

লাভ: इससे मन स्थिर होता है, ध्यान की शक्ति बढ़ती है और ईश्वर की अनुभूति साकार होती है।

কী করবেন না এই পবিত্র মাসে?

  • মাংস, মদ্য এবং তামসিক খাবার থেকে দূরে থাকুন।
  • অপশব্দ, ক্রোধ এবং নিন্দা থেকে বিরত থাকুন।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিন।
  • রাতে দেরী পর্যন্ত জেগে থাকা এবং দিনে ঘুমানো এড়িয়ে চলুন।

আষাঢ় মাস ভক্তি, সাধনা এবং আত্মশুদ্ধির উত্তম সময়। ভগবান বিষ্ণুর উপাসনা এই মাসে বিশেষ ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। উপরোক্ত বর্ণিত উপায়গুলি শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক উন্নয়নে সহায়ক নয়, এগুলি আপনার জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচকতাও নিয়ে আসে।

Leave a comment