কর্ণের জন্মের কাহিনী: দানবীর কর্ণের জীবনের অজানা ইতিহাস

🎧 Listen in Audio
0:00

   কর্ণের জন্মের কাহিনী    Story of Karna's birth

এটি এমন এক যোদ্ধার গল্প, যাঁকে মানুষ দানবীর কর্ণ নামে জানে। কর্ণ ছিলেন পান্ডবদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ এবং এই কথাটি শুধুমাত্র মাতা কুন্তীই জানতেন। কুন্তীর বিবাহের পূর্বেই কর্ণের জন্ম হয়েছিল। সেই কারণে, লোকলজ্জার ভয়ে কুন্তী কর্ণকে ত্যাগ করেছিলেন।

কিন্তু কর্ণের জন্ম কুন্তীর বিবাহের আগে কীভাবে হল, তার পিছনেও একটি গল্প আছে। সেই সময়ের কথা যখন কুন্তীর বিবাহ হয়নি এবং তিনি ছিলেন শুধুই এক রাজকুমারী। সেই সময় ঋষি দুর্বাসা এক বছরের জন্য রাজকুমারী কুন্তীর পিতার

মহলে অতিথি হিসাবে ছিলেন। কুন্তী এক বছর ধরে তাঁর খুব সেবা করেছিলেন। রাজকুমারীর সেবায় ঋষি দুর্বাসা প্রসন্ন হয়ে কুন্তীকে বর দেন যে তিনি যে কোনও দেবতাকে আহ্বান করে তাঁর থেকে সন্তান লাভ করতে পারবেন।

একদিন কুন্তীর মনে হল, কেন না বরদানের পরীক্ষা করা যাক। এমনটা ভেবে তিনি সূর্যদেবের প্রার্থনা করে তাঁকে আহ্বান করলেন। সূর্যদেবের আগমনে এবং বরদানের প্রভাবে কুন্তী বিবাহের পূর্বেই গর্ভবতী হয়ে পড়লেন। কিছু সময় পর তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন,

যে সূর্যদেবের মতোই প্রভাবশালী ছিল। সেইসঙ্গে জন্ম থেকেই সেই শিশুর শরীরে কবচ ও কুণ্ডল ছিল। কুমারী অবস্থায় পুত্র লাভ করার কারণে লোকলজ্জার ভয়ে কুন্তী তাকে একটি বাক্সে বন্ধ করে নদীতে ভাসিয়ে দিলেন। বাক্সটি এক সারথি ও

তাঁর স্ত্রীর হাতে আসে, যাদের কোনও সন্তান ছিল না। তারা দুজনে কর্ণকে পুত্র হিসাবে পেয়ে খুব খুশি হয় এবং তার লালন পালন করতে থাকে। এই সূর্যপুত্রই পরে দানবীর কর্ণ নামে পরিচিত হন এবং বহু বছর পর কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাঁচ পান্ডবের সামনে তিনি এক

শক্তিশালী যোদ্ধা হিসাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

Leave a comment