ফাল্গুন পূর্ণিমা ২০২৫: তিথি, শুভ মুহূর্ত ও গুরুত্ব

🎧 Listen in Audio
0:00

হিন্দু ধর্মে ফাল্গুন পূর্ণিমার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় নয়, আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনেই হোলির উৎসব পালিত হয়, যা এই তিথিকে আরও বিশেষ করে তোলে। এই দিন স্নান, দান এবং ব্রত করলে বহুগুণ ফল লাভ হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ফাল্গুন পূর্ণিমার দিন কোন মুহূর্তে স্নান ও দান করা সর্বোত্তম হবে।

ফাল্গুন পূর্ণিমা ২০২৫: তিথি ও শুভ মুহূর্ত

ফাল্গুন পূর্ণিমা তিথির সূচনা ১৩ই মার্চ ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০:৩৮ টা থেকে হবে এবং এটি ১৪ই মার্চ ২০২৫ (শুক্রবার) দুপুর ১২:২৭ টা পর্যন্ত চলবে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, ব্রত, স্নান এবং দান উদয়তিথির উপর ভিত্তি করে করা হয়, তাই ফাল্গুন পূর্ণিমার সকল শুভ কাজ ১৪ই মার্চ করা হবে।

স্নান ও দানের জন্য উত্তম মুহূর্ত

* ব্রহ্ম মুহূর্ত – সকাল ৪:৫৫ থেকে ৫:৪৪ টা পর্যন্ত
* অভিজিত মুহূর্ত – দুপুর ১২:০৬ থেকে ১২:৫৪ টা পর্যন্ত

ফাল্গুন পূর্ণিমায় কি করবেন?

* পবিত্র নদীতে স্নান – এই দিন গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী প্রভৃতি পবিত্র নদীতে স্নান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
* চন্দ্রমার পূজা – এই দিন চন্দ্রদোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চন্দ্রমাকে অর্ঘ্য দেওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
* দানের গুরুত্ব – এই দিন অন্ন, বস্ত্র, তিল, ঘি, গুড় এবং দরিদ্রদের অর্থ দান করা শুভ বলে মনে করা হয়।
* যোগ ও ধ্যান – এই দিন ধ্যান করলে আধ্যাত্মিক শান্তি এবং ইতিবাচক শক্তি লাভ হয়।

ফাল্গুন পূর্ণিমার গুরুত্ব

ফাল্গুন পূর্ণিমা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় তিথি নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক জাগ্রত ও ইতিবাচক শক্তিরও প্রতীক। এই দিন করা শুভ কাজের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিন স্নান, দান এবং ব্রত করলে জীবনের সংকট দূর হয় এবং সুখ-সমৃদ্ধি লাভ হয়। এছাড়াও, এই দিন হোলাষ্টক শেষ হয়, যার ফলে শুভ কাজের সূচনা করা যায়।

ফাল্গুন পূর্ণিমা ২০২৫ একটি পবিত্র উপলক্ষ, যেখানে আধ্যাত্মিক উন্নতি, পাপ থেকে মুক্তি এবং সুখ-সমৃদ্ধি লাভের এক অনন্য সুযোগ তৈরি হয়। এই দিন শুভ মুহূর্তে স্নান, দান এবং ব্রত করে জীবনকে সফল ও সুষম করা যায়।

Leave a comment