তুলসী পূজা দিবস সনাতন ধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব, যা প্রতি বছর ২৫শে ডিসেম্বর পালিত হয়। এই দিনে মাতা তুলসী, যাঁকে ভগবান বিষ্ণুর প্রিয় এবং দেবী লক্ষ্মীর স্বরূপ মনে করা হয়, তাঁর বিশেষ পূজা করা হয়। এই দিনের উদ্দেশ্য আধ্যাত্মিক উন্নতি, ইতিবাচক শক্তি এবং পারিবারিক সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করা।
তুলসী পূজা দিবস সনাতন ধর্মে অত্যন্ত শুভ ও পূজনীয় পর্ব। এই দিনটি মাতা তুলসীর পূজার জন্য উৎসর্গীকৃত। প্রতি বছর ২৫শে ডিসেম্বর পালিত হওয়া এই পর্বের উদ্দেশ্য আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং পারিবারিক সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করা। আসুন, জেনে নেওয়া যাক তুলসী পূজার নিয়ম, পরম্পরা এবং কিছু বিশেষ উপায়, যা আপনার আর্থিক সঙ্কট দূর করতে সহায়ক হতে পারে।
তুলসী পূজার মাহাত্ম্য
তুলসীকে হিন্দু ধর্মে দেবীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ভগবান বিষ্ণুর অর্ধাঙ্গিনী লক্ষ্মীর রূপ মনে করা হয়। তুলসী পূজার দিনে বিধি-অনুসারে পূজা করলে এবং ব্রত রাখলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, তুলসী পূজা করলে মা লক্ষ্মী ও বিষ্ণু ভগবানের কৃপা লাভ করা যায়।
তুলসী পূজার নিয়ম ও পরম্পরা
· তুলসী পূজার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করুন। পূজার স্থান গঙ্গাজল দিয়ে পরিষ্কার করুন।
· তুলসী মাতার সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁর আরতি করুন।
· এই দিনে তুলসী গাছের পাতা ছিঁড়তে নেই। পূজার জন্য আগে থেকে তুলে রাখা পাতা ব্যবহার করুন।
· এই দিনে তামসিক খাবার ও নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন।
দানের মাহাত্ম্য
অসহায়দের খাদ্য, বস্ত্র ও অর্থ দান করুন।
শুভ মুহূর্ত
· পঞ্জিকা অনুসারে
· তুলসী পূজার সূচনা: ২৪শে ডিসেম্বর, সন্ধ্যা ৭:৫২ মিনিটে।
· সমাপ্তি: ২৫শে ডিসেম্বর, রাত্রি ১০:২৯ মিনিটে।
· উদয়তিথি অনুসারে, তুলসী পূজা ২৫শে ডিসেম্বর পালিত হবে।
তুলসী পূজার উপায়
· তুলসীতে জল দেওয়ার সময় তাতে তিল মেশান। এটি আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক।
· তুলসীর মঞ্জরি লাল কাপড়ে বেঁধে তিজোরিতে রাখুন। এটি ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
· মাতা তুলসীর ১০৮ বার পরিক্রমা করুন। এতে বিবাহের বাধা দূর হয়।
· তুলসী মঞ্জরি ঘরের বারান্দা বা উত্তর-পূর্ব দিকে রাখুন। এতে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।
তুলসী পূজার ধর্মীয় মাহাত্ম্য
তুলসী ভগবান বিষ্ণুর প্রিয়। সন্ধ্যায় তুলসীতে প্রদীপ জ্বালালে ঘরে ইতিবাচকতা আসে। এই দিনে তুলসী মাতাকে সিঁদুর ও শৃঙ্গারের জিনিস অর্পণ করলে দাম্পত্য জীবনে সুখ আসে।
তুলসী পূজা দিবস শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় রীতি নয়, বরং এটি আমাদের জীবনকে ইতিবাচক শক্তি এবং সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তোলার একটি মাধ্যম। এই দিনে পূজা করার পাশাপাশি পরম্পরা ও উপায়গুলি পালন করে জীবনে সুখ, শান্তি ও আর্থিক উন্নতি লাভ করা যেতে পারে।
```