নতুন কেলেঙ্কারি! যোগ শেখানোর নাম করে চলত গাঁজা-চক্র, রাজনন্দগাঁওয়ে পুলিশের হানা

নতুন কেলেঙ্কারি! যোগ শেখানোর নাম করে চলত গাঁজা-চক্র, রাজনন্দগাঁওয়ে পুলিশের হানা
সর্বশেষ আপডেট: 6 ঘণ্টা আগে

যোগা শেখানোর আড়ালে ভয়ংকর অপরাধ! ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁও জেলার প্রজ্ঞাগিরি এলাকায় অবস্থিত একটি আশ্রমে হানা দিয়ে ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করল পুলিশ। নেশার সাম্রাজ্যের মূলে থাকা স্বঘোষিত যোগগুরু বাবাকান্তি আগরওয়ালকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়।

নেশার আখড়া আশ্রমে! গাঁজা-বেচা, সেবন আর অন্ধকার রাতের পার্টি

আশ্রমের আড়ালে কী চলত? পুলিশের তল্লাশিতে প্রকাশ, যোগ শেখানোর বদলে রোজ বসত নেশার আসর। মাদক বিক্রি তো ছিলই, গাঁজার আসক্তিতে পড়ে বহু পর্যটক এখানে আসতেন। ছত্তিশগড় পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গোয়া থেকে বেআইনি সাম্রাজ্যের সূচনা! বিদেশি পর্যটকদের নেশার ফাঁদে টেনেছিলেন ‘যোগগুরু’

গোয়ার রোদেলা সৈকত আর শান্তিপূর্ণ যোগশিবিরের আড়ালে গোপনে চলছিল এক অন্ধকার খেলা। বিদেশি পর্যটকদের সহজ শিকার বানিয়ে শুরু করেছিলেন যোগ শেখানোর নামের ব্যবসা। বাবাকান্তি প্রথমে বিদেশিদের কাছে ‘হেলদি লাইফস্টাইল’ আর ‘স্পিরিচুয়াল ওয়েলনেস’-এর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু জনপ্রিয়তার আড়ালে ধীরে ধীরে তিনি গড়ে তোলেন এক মাদক সাম্রাজ্য। পরে ছত্তিশগড়-সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে ফেলে নিজের এই ‘নেশার জাল’।

আশ্রমে মাদক কারবারের স্বীকারোক্তি! পুলিশের সামনে মুখ খুললেন বাবাকান্তি

অবশেষে পুলিশের জেরায় ফাঁস বাবাকান্তি আগরওয়াল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনি সরাসরি মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত। শুধু আশ্রম নয়, আরও কিছু এনজিও এবং সংস্থার মাধ্যমে মাদকের কারবার চলত বলে সন্দেহ পুলিশের।

অন্য রাজ্যেও বিস্তার! গোয়ার আশ্রমেও মাদকের খোঁজে তদন্ত

তদন্তের নজর এবার গোয়ার দিকে! পুলিশ সূত্রে খবর, যদিও এখনও গোয়ার আশ্রমে তল্লাশি চালানো হয়নি, তবে তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, সেখান থেকেও মাদক উদ্ধার হতে পারে। দ্রুত সেই দিকেও অভিযান শুরু করবে পুলিশ।

চক্রে জড়িত আরও অনেক! খোঁজে নেমেছে পুলিশ

কেবল একা নয়, আরও বড় চক্রের ইঙ্গিত পুলিশের সন্দেহ, বাবাকান্তির আশ্রম ভিত্তিক মাদকচক্রে আরও অনেকে জড়িত। ইতিমধ্যে তার সহযোগীদেরও জেরা শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস হতে সময় লাগবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া আর এনজিওর আড়ালে অপরাধ! তদন্তে নতুন মোড়

সংস্থার নামেও সন্দেহের কালো ছায়া তদন্তে উঠে এসেছে, একাধিক এনজিও ও যোগ সংস্থার নাম। সেখান থেকেও অর্থ আসত, সেই অর্থের বড় অংশ মাদক কারবারে ব্যবহার হতো কিনা, তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

শহর থেকে শহরে মাদক-যোগ! পর্যটক টার্গেট করে ছড়িয়েছিল নেশার ফাঁদ

পর্যটক আকর্ষণের ফাঁদে ‘যোগগুরু’ বাবাকান্তি যোগ প্রশিক্ষণের নামে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেন। আশ্রমে এসে প্রথমে যোগ, তারপর ধীরে ধীরে টেনে নিতেন নেশার জগতে।

পুলিশের তরফে বড় অভিযানের ইঙ্গিত! সামনে আসতে পারে বড় নাম

চক্র ভাঙতে প্রস্তুত পুলিশ ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই মামলায় আরও বড় বড় নাম সামনে আসতে পারে। দ্রুত গোয়া এবং অন্যান্য স্থানের আশ্রমেও হানা দেবে পুলিশ। তদন্তের গতি আরও বাড়ানো হচ্ছে।

Leave a comment