অশোকনগরে এক যুবক, জনৈক সরপঞ্চের বিরুদ্ধে জোর করে মল খাওয়ানোর মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল। তদন্তে জানা গেছে, কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারি যুবকটিকে এমনটা করতে প্ররোচিত করেছিলেন। এফআইআর দায়ের।
কংগ্রেস জিতু পাটোয়ারি নিউজ: মধ্যপ্রদেশের অশোকনগর জেলায়, তথাকথিত 'মানব মল খাওয়ানো'র ঘটনায় বড়সড় একটা তথ্য উঠে এসেছে। প্রাথমিক অভিযোগে বলা হয়েছিল, গ্রামের সরপঞ্চ এক যুবককে জোর করে মানব মল খাইয়েছেন। কিন্তু এখন পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, পুরো ঘটনাটাই মিথ্যা ছিল এবং যুবকটি রাজনৈতিক চাপে পড়ে এই ধরনের বয়ান দিয়েছিল। এই ঘটনায় এবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা এবং প্রদেশ সভাপতি জিতু পাটোয়ারির বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে।
গজরাজ লোधी নিজেই স্বীকার করলেন সত্যিটা
অশোকনগরের বাসিন্দা গজরাজ লোधी, যাঁর বয়ানের ভিত্তিতে এই মামলার সূত্রপাত, তিনি এখন স্বয়ং এসে বলেছেন যে, তিনি সরপঞ্চের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। তিনি কংগ্রেস নেতাদের কথায় এই অভিযোগ করেন এবং এর জন্য তিনি কিছু টাকাও পেয়েছিলেন। গজরাজ কালেক্টরকে একটি হলফনামা জমা দিয়েছেন, যেখানে তিনি পুরো ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন।
পুলিশ এফআইআর-এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে
এই পুরো ঘটনা প্রসঙ্গে অশোকনগরের এসপি (SP) বিনীত কুমার জৈন একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন যে, গজরাজ লোधी স্বীকার করেছেন যে তিনি সরপঞ্চের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন এবং এই সমস্ত কিছুই কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারির কথা মতো করা হয়েছে। পুলিশ এখন বিএনএস-এর বিভিন্ন ধারায় জিতু পাটোয়ারির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
পুরো ঘটনাটি কীভাবে ঘটল
গজরাজ লোঢীর অভিযোগ ছিল যে, গ্রামের সরপঞ্চ তাকে জোর করে মানব মল খাইয়েছেন। এই ঘটনাটি দ্রুত মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং দলিতদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি উত্থাপন করেন। বিষয়টি তীব্র হওয়ার পরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং এখন গজরাজের বয়ানে পুরো বিষয়টি পাল্টে গেছে।
গজরাজ হলফনামায় কী বলেছেন
গজরাজ তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন যে, কয়েকজন কংগ্রেস নেতা তাঁকে ওর্ছায় নিয়ে যান এবং সেখানে তাঁকে সরপঞ্চের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বলা হয়। এর জন্য তাঁকে টাকার লোভও দেখানো হয়েছিল। গজরাজ আরও বলেন যে, তিনি রাজনৈতিক চাপে পড়ে এই মিথ্যা কথা বলেছিলেন।
জিতু পাটোয়ারির বক্তব্য
এফআইআর (FIR) দায়ের হওয়ার পর কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারি সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগে বলেন, "যেখানে দলিত ও কৃষকদের উপর অত্যাচার হয়, সেখানে বিরোধী দলের দায়িত্ব হলো আওয়াজ তোলা। তবে সরকারের প্রধান কাজ হলো, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের পরিবর্তে বিরোধীদের ফাঁসানো। আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করার জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই, সাধুবাদ জানাই এবং শুভকামনা জানাই।"
বিজেপির নিশানা
বিজেপি এই পুরো ঘটনাটিকে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র হিসাবে চিহ্নিত করেছে। দলের প্রদেশ মিডিয়া ইনচার্জ আশিষ আগরওয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ পোস্ট করে বলেছেন, এটি "সস্তা রাজনীতির জন্য প্রদেশের ভাবমূর্তি কমানোর ষড়যন্ত্র"। তিনি দাবি করেছেন, এই ধরনের মিথ্যা মামলায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে সমাজে ভুল বার্তা না যায়।
