ইরানের হুঁশিয়ারি: খামেনেইয়ের প্রতি সম্মান না দেখালে সমঝোতা নয়

ইরানের হুঁশিয়ারি: খামেনেইয়ের প্রতি সম্মান না দেখালে সমঝোতা নয়
সর্বশেষ আপডেট: 7 ঘণ্টা আগে

ইরানের বিদেশমন্ত্রী আরাঘচি আমেরিকার প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যদি তারা ইরানের সঙ্গে সমঝোতা চায়, তাহলে খামেনেইয়ের প্রতি সম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করতে হবে।

ইরান-মার্কিন সম্পর্ক: ইরান ও আমেরিকার মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কে আবারও তিক্ততা বেড়েছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী সাঈদ আব্বাস আরাঘচি স্পষ্টভাবে আমেরিকাকে সতর্ক করেছেন যে, যদি আমেরিকা সত্যি কোনো সমঝোতা করতে চায়, তাহলে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেইয়ের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করতে হবে।

আরাঘচির কড়া বার্তা

আরাঘচি সামাজিক মাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ এক পোস্টে আমেরিকাকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "ইরানি জনগণের জটিলতা আমাদের কার্পেটের মতো, তবে আমাদের জাতীয় অনুভূতি সরল ও স্পষ্ট।" তিনি আরও বলেন যে, ইরানিরা তাদের ভাগ্যের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেয় এবং তাদের নির্দেশ দেওয়ার অধিকার কারও নেই। এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন আমেরিকার 'অপারেশন মিডনাইট হ্যামার'-এর অধীনে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার খবরও সামনে এসেছে।

ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া

ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছেন যে তিনি ইরানের সমস্ত পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করে দিয়েছেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্য ইরানের জন্য অপমানজনক বলে মনে করা হয়েছে। আরাঘচি বলেছেন, যদি ট্রাম্প সত্যিই কোনো চুক্তি করতে চান, তাহলে তাঁকে খামেনেই এবং তাঁর কোটি কোটি সমর্থকের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। ইরানের এই মনোভাব বুঝিয়ে দেয় যে তারা এখন কেবল আলোচনার ভাষা নয়, বরং আচরণেও পরিবর্তন চাইছে।

আস্থার অভাব এবং পুরনো কৌশলের সমালোচনা

আরাঘচির মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের পুরনো 'সর্বোচ্চ চাপ' নীতি ইরানে আমেরিকার প্রতি আস্থার ক্ষতি করেছে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং সামরিক চাপের মতো কৌশলগুলো ইরানের আত্মনির্ভরশীলতাকে আরও শক্তিশালী করছে।

আমেরিকার কূটনৈতিক অবস্থান

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট এই পুরো ঘটনাপ্রবাহের ওপর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন যে, আমেরিকা এখনও ইরানি কর্মকর্তা এবং তাদের মধ্যস্থতাকারী, কাতারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে বর্তমান প্রশাসন কূটনীতি ও শান্তির দিকে কাজ করছে। এর থেকে অবশ্যই বোঝা যায় যে আমেরিকার কৌশলতে এখন কিছু নমনীয়তা দেখা যাচ্ছে।

ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি

আরাঘচি এক কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, "যদি বিভ্রান্তি থেকে কোনো বড় ভুল হয়, তাহলে ইরান তার প্রকৃত ক্ষমতা দেখাতে দেরি করবে না।" এটি কেবল একটি কূটনৈতিক বিবৃতি নয়, বরং একটি স্পষ্ট সামরিক ইঙ্গিতও বটে। ইরান আগেও বারবার বলেছে যে তারা আঞ্চলিক ভারসাম্যে তাদের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর এবং তারা বাইরের চাপকে ভয় পায় না।

Leave a comment