মহাকাশে শুভংশু शुक्ला: অ্যাসিওম-৪ মিশনে ভারতীয় নভোচারীর প্রথম বার্তা

মহাকাশে শুভংশু शुक्ला: অ্যাসিওম-৪ মিশনে ভারতীয় নভোচারীর প্রথম বার্তা
সর্বশেষ আপডেট: 15 ঘণ্টা আগে

ভারতীয় বিমান পরিষেবার পাইলট শুভংশু शुक्ला মহাকাশে পৌঁছেছেন অ্যাসিওম-৪ মিশনে। প্রথম বার্তা পাঠানোর সময় তিনি মাইক্রোগ্র্যাভি অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে বলেছেন, “আমি যেন একটা শিশুর মতো সবকিছু শিখছি।”

অ্যাসিওম-৪ মিশন: ভারতীয় বিমান পরিষেবার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভংশু शुक्ला অ্যাসিওম-৪ (Axiom-4) মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এর জন্য সফলভাবে উড়াল দিয়েছেন। মহাকাশে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুভংশু মহাকাশ থেকে প্রথম ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি তাঁর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, অনুভূতি এবং উপলব্ধিগুলো শেয়ার করেছেন। এই ঐতিহাসিক যাত্রার মাধ্যমে শুভংশু মহাকাশে যাওয়া দ্বিতীয় ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

মহাকাশ থেকে প্রথম বার্তা

প্রথম ভিডিও বার্তায় শুভংশু शुक्ला বলেছেন, “সকলকে মহাকাশ থেকে नमस्कार। আমার সঙ্গীদের সাথে এখানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। ওয়াও, এই যাত্রাটা দারুণ ছিল। যখন আমি লঞ্চপ্যাডে ক্যাপসুলটিতে বসেছিলাম, তখন আমার মনে একটাই চিন্তা ছিল - চল যাই।” তিনি জানান, যাত্রা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বসার দিকে ঠেলে দেওয়া হয় এবং তারপর হঠাৎ সবকিছু শান্ত হয়ে যায়। মাইক্রোগ্র্যাভি-র প্রথম অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “আমি এখন শূন্যে ভাসছি এবং একজন শিশুর মতো মহাকাশে বেঁচে থাকার উপায় শিখছি।”

শুভংশুর দলে কারা আছেন?

অ্যাসিওম-৪ মিশনে চারজন নভোচারী রয়েছেন। শুভংশু शुक्লার সাথে মার্কিন কমান্ডার পেইজি হুইটসন রয়েছেন, যিনি নাসা (NASA)-র প্রাক্তন নভোচারী ছিলেন এবং তিনটি মহাকাশ মিশনে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও হাঙ্গেরির মিশন বিশেষজ্ঞ টিবোর কাপু এবং পোল্যান্ডের স্लावোজ উজনানস্কি-ভিসনিভস্কি এই মিশনে অংশ নিচ্ছেন। এই দলের উৎক্ষেপণ স্পেসএক্স (SpaceX)-এর ফ্যালকন ৯ রকেট থেকে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে করা হয়েছে।

মাইক্রোগ্র্যাভি-র অভিজ্ঞতা

শুভংশু জানান, মাইক্রোগ্র্যাভি-র পরিবেশে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অনুভব করেন যেন তিনি এক নতুন জগতে প্রবেশ করেছেন। সবকিছু ভাসমান দেখা যায় এবং প্রতিটি কাজ - হাঁটা, খাওয়া, হাত নাড়াও - এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, “আমি এখানে যেন একটা শিশুর মতো। সবকিছু শিখতে হচ্ছে, এমনকি খাবার খাওয়াও কিভাবে করতে হয় সেটাও।”

ঐতিহাসিক উৎক্ষেপণ: भारतीयों জন্য গর্বের মুহূর্ত

এই উড্ডয়ন বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ লাইভ দেখেছে। ভারত, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড এবং আমেরিকাতে উৎক্ষেপণের সময় ওয়াচ পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের লখনউ থেকে শুরু করে বুদাপেস্ট, ড্যানস্ক এবং হিউস্টন পর্যন্ত মানুষ এই মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে। শুভংশুর এই উৎক্ষেপণ একই ঐতিহাসিক এলসি-39এ লঞ্চপ্যাড থেকে হয়েছে, যেখান থেকে জুলাই ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ মিশনে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয়েছিল। এটি ভারতের জন্য গর্বের মুহূর্ত, কারণ শুভংশু আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছানো প্রথম ভারতীয় হিসেবে স্থান অধিকার করেছেন।

বহুবার স্থগিত মিশন, তবুও মনোবল অটুট

অ্যাসিওম-৪ মিশনটি প্রথমে ২৬ মে তারিখে উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত ছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়া এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এটি একাধিকবার স্থগিত করা হয়েছিল। স্পেসএক্স, নাসা এবং অ্যাসিওমের দলগুলো প্রায় এক মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর প্রযুক্তিগত ত্রুটিগুলো সমাধান করে উৎক্ষেপণ সফল করে তোলে। এই মিশনের সাফল্য ভারতীয় মহাকাশ ইতিহাসের এক নতুন স্বর্ণালী অধ্যায় যোগ করেছে।

শুভংশু शुक्ला: ভারতীয় বিমান পরিষেবার থেকে মহাকাশের উচ্চতায়

৩৭ বছর বয়সী শুভংশু शुक्ला ভারতীয় বিমান পরিষেবার গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং তিনি সেই কয়েকজনের মধ্যে একজন, যারা গভীর প্রশিক্ষণের পর অ্যাসিওম স্পেস মিশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় মহাকাশের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাঁর এই মিশন শুধু তাঁর জন্য নয়, দেশের সকল যুবকের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।

Leave a comment