পূর্ব চম্পারণ জেলার, পকড়িदयाल মহকুমার অন্তর্গত ভগবানপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার জমি বিবাদ সহিংস রূপ নেয়। পুলিশের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ শুরু হলেও, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পরেই দুই পক্ষের মধ্যে লাঠি, বাঁশ ও ধারালো অস্ত্র চলতে শুরু করে। এর মধ্যেই গুলি চলে, যাতে অজয় সাহানি নামে এক যুবকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, এবং আরও চারজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য মোতিহারি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত পরিবারের অভিযোগ, তারা আদালতের নির্দেশের পর বিতর্কিত জমিতে বাড়ির নির্মাণ কাজ করাচ্ছিলেন। তখনই গ্রামেরই প্রবীণ সাহানি, শিবরাজ সাহানি, নবল সাহানি এবং কুলদেব সাহানি সহ আরও অনেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে পৌঁছায় এবং হঠাৎ করে হামলা চালায়। মৃতের পিতা বিন্দেশ্বরী সাহানির মতে, অভিযুক্তরা প্রথমে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে, পরে মারধর শুরু করে এবং চোখের পলকে গুলি চালাতে শুরু করে। এই গুলি বর্ষণে অজয় সাহানির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, এবং তার মেয়েও আহত হয়।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, এবং অন্যদের খোঁজা চলছে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং গ্রামে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
পুলিশের গাফিলতিতে সহিংসতা
পূর্ব চম্পারণের মোতিহারি জেলায় জমি বিবাদ নিয়ে হওয়া রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর পুলিশ মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুরো ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে স্বয়ং এসপি স্বর্ণ প্রভাত ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল, যা নিয়ে এর আগে পুলিশ সতর্কতা অবলম্বন করেছিল। তা সত্ত্বেও সহিংসতা ছড়িয়ে পরে, যাতে এক যুবকের মৃত্যু হয় এবং চারজন গুরুতর আহত হয়। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
এসপি প্রেসকে জানান, বিতর্কিত জমিতে বাড়ির ঢালাই আদালতের নির্দেশে পুলিশের তত্ত্বাবধানে করা হচ্ছিল, কিন্তু যখন সংঘর্ষ হয়, তখন পকড়িদয়াল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখানে ছিলেন না। এটিকে প্রশাসনিক গাফিলতি হিসেবে বিবেচনা করে এসপি পকড়িদিয়ালের এএসপিকে পুরো ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, দোষী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনা প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে যে, পুলিশ যদি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকত, তাহলে হয়তো এই সহিংসতা এড়ানো যেত। এখন যখন আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও নিরাপত্তা লঙ্ঘন হয়েছে, তখন দেখা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশাসন এই ত্রুটির দায় কার উপর চাপায় এবং ভবিষ্যতে কী কঠোর পদক্ষেপ নেয়।