লুধিয়ানা শহরের শেরপুর অঞ্চলে একটি নীল প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ঘটনার দু'দিন পরেও মৃত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি এবং পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের কোনো সূত্র খুঁজে পায়নি। পুলিশ এখন এই রহস্যজনক মামলার জট খোলার জন্য ড্রাম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছে, যাতে জানা যায় ড্রামটি কোথা থেকে এসেছে এবং কে এটি কিনেছিল।
ঘটনাটি শেরপুরের একটি খালি প্লটের, যেখানে দুর্গন্ধ আসার পরে স্থানীয় লোকেরা একটি নীল রঙের ড্রাম দেখতে পায়। সেটি খোলার পরে প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে মোড়া অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহের পা এবং গলায় দড়ি বাঁধা ছিল এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যে যুবকটিকে হত্যা করে ড্রামের মধ্যে ভরে নির্জন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে, পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং আশেপাশের থানাগুলিতে নিখোঁজ ডায়েরি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও, ড্রামের নির্মাণ ও বিতরণ নেটওয়ার্ক থেকেও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, খুব শীঘ্রই এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর্দাফাঁস করা হবে।
শরীরে আঘাতের চিহ্ন
লুধিয়ানার শেরপুর অঞ্চলে একটি খালি প্লট থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হওয়ার পরে, স্থানীয় লোকেরা সেখানে রাখা নীল প্লাস্টিকের ড্রামটি পরীক্ষা করার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ড্রাম খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায়, যার শরীরে একাধিক গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র থানা ডিভিশন নম্বর ৬-এর এসএইচও কুলবন্ত কৌর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নিহত ব্যক্তি কোনো পরিযায়ী শ্রমিক হতে পারে। মৃতদেহের অবস্থা খুবই খারাপ এবং আপাতত তাকে সনাক্ত করা কঠিন। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হত্যার জট খোলার জন্য এবং মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করার জন্য সব দিক থেকে তদন্ত করছে। আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার রেকর্ডিংও খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের সূত্র পাওয়া যায়।
ড্রাম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ
লুধিয়ানার শেরপুর অঞ্চলে একটি নীল প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের দু'দিন পরেও পুলিশ মৃতের পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি। হত্যারহস্য সমাধানের জন্য পুলিশ এখন ড্রামের সরবরাহ শৃঙ্খল খতিয়ে দেখছে। ডিভিশন নম্বর ৬-এর এসএইচও কুলবন্ত কৌর-এর মতে, লুধিয়ানাতে এই ধরনের ড্রাম প্রস্তুতকারক প্রায় ৪২টি সংস্থা রয়েছে, যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ড্রামের কেনা-বেচার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, শেরপুর চকের কাছে একটি খালি প্লট থেকে দুর্গন্ধ আসার পরে স্থানীয় লোকেরা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ একটি নীল ড্রামের মধ্যে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক যুবকের মৃতদেহ খুঁজে পায়। মৃতদেহের হাত দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। আপাতত মৃতদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে এবং পুলিশ হত্যার সমস্ত সম্ভাব্য দিক খতিয়ে দেখছে।