খ্যাতনামা ও প্রভাবশালী গল্প: মূর্খ সাধু ও ঠগ
এক সময়ের কথা, এক গ্রামে এক সাধু বাবা বাস করতেন। পুরো গ্রামে তিনি একমাত্র সাধু ছিলেন, যিনি গ্রামবাসীদের কাছ থেকে নানা উপহার পেতেন। এই দানের লোভে তিনি গ্রামে আর কোনো সাধুকে থাকতে দিতেন না, যদি কেউ আসতো তাহলে তাকে যেকোনো উপায়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিতেন। এভাবে তাঁর কাছে প্রচুর ধন জমেছিল। এক ঠগের নজর অনেকদিন ধরেই সাধু বাবার ধনের উপর ছিল। সে যেকোনো ভাবেই সেই ধন লুঠ করতে চাইছিল। সে পরিকল্পনা করে একজন ছাত্রের ভेष ধরে সাধুর কাছে এল। সে সাধুর কাছে নিজেকে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করল।
প্রথমে সাধু বাবা মনা করলেন, কিন্তু পরে কিছুক্ষণ পরে রাজি হয়ে গেলেন এবং ঠগকে নিজের শিষ্য করে নিলেন। ঠগ সাধুর সাথে মন্দিরেই থাকতে লাগল এবং সাধুর সেবা করার সাথে সাথে মন্দিরের দেখভালও করতে লাগল। ঠগের সেবায় সাধু খুশি হলেন, কিন্তু তবুও ঠগের উপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারলেন না। একদিন সাধু বাবাকে অন্য এক গ্রাম থেকে আমন্ত্রণ পত্র এল এবং তিনি শিষ্যকে সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন। সাধু তাঁর সমস্ত ধন একটি পুতুলের মধ্যে বেঁধে রাখলেন। পথে তাদের একটা নদী পড়ল। সাধু ভাবলেন গ্রামে প্রবেশ করার আগে নদীতে স্নান করে নেওয়া যাক। সাধু তাঁর ধন একটি কম্বলে ঢেকে রেখে ঠগকে সেটির দেখভাল করতে বলে নদীর দিকে চলে গেলেন।
ঠগের আনন্দের সীমা রইল না। যে সুযোগের খোঁজ সে করছিল, সেটি সে পেয়ে গেল। সাধু নদীতে ডুব দিয়ে স্নান করতে থাকতেই ঠগ সব সম্পত্তি নিয়ে পালিয়ে গেল। সাধু যখন ফিরে এলেন, তখন তিনি দেখলেন না শিষ্য আছে, না তাঁর সম্পত্তি। সব দেখে সাধু মাথা ধরে ফেললেন।
এই গল্প থেকে আমরা শিক্ষা পাই - এই গল্প থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে কখনোই লোভ করা উচিত নয় এবং কারও মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করা উচিত নয়।
আমাদের লক্ষ্য হল এভাবেই ভারতের অমূল্য সম্পদ, যা সাহিত্য, শিল্প ও গল্পে আছে, সেগুলো সহজ ভাষায় আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই ধরণের প্রভাবশালী গল্পের জন্য পড়তে থাকুন subkuz.com