দিল্লি-এনসিআর-এ আবারও গরমের আগমন, উত্তর ভারতে আবহাওয়ার বৈচিত্র্য

🎧 Listen in Audio
0:00

দেশের অনেক অংশে আবহাওয়া হঠাৎ পরিবর্তন হয়েছে। দিল্লি-এনসিআর-এ কয়েকদিনের স্বস্তিদায়ক বৃষ্টির পর আবারও গরম ফিরে আসছে। অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের অনেক জেলায় বৃষ্টি এবং ঝড়ের কারণে আবহাওয়া নতুন রূপ ধারণ করেছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দিল্লি-এনসিআর-এ আবহাওয়ার মেজাজ আবারও বদলাতে চলেছে। সম্প্রতি আসা প্রচণ্ড ঝড় এবং বৃষ্টি গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল, কিন্তু এখন রাজধানীতে গরম ফিরে আসছে। আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল থেকে দিল্লিতে গরমের ধারা আবার শুরু হবে এবং এটি সারা সপ্তাহ ধরে চলার সম্ভাবনা রয়েছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং রবিবার নাগাদ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যার ফলে অস্বস্তিকর উত্তাপ অনুভূত হবে।

দিল্লি-এনসিআর-এ আবারও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে, গরম ফিরে আসার সম্ভাবনা

দিল্লি এবং এর আশপাশের এলাকা গত কয়েকদিন ধরে ঝড়-বৃষ্টির কারণে অস্বস্তিকর উত্তাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছিল। কিন্তু আবহাওয়া বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজধানীতে আবারও প্রচণ্ড গরম আঘাত হানতে চলেছে। আগামীকাল থেকে দিল্লি-এনসিআর-এ ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং সপ্তাহান্তের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

এই পরিবর্তনের ফলে মানুষ আবারও গরম এবং অস্বস্তিকর উত্তাপের সম্মুখীন হবে। বিশেষ করে সকাল এবং দুপুরে রোদ তীব্র থাকবে, যার ফলে বাইরে বেরোনোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনও বৃষ্টির কোনো ইঙ্গিত নেই, তাই মানুষকে গরমের অনুসারে তাদের দৈনন্দিন কাজের পরিকল্পনা করতে হবে।

উত্তর প্রদেশে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি

উত্তর প্রদেশে গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা গেছে। পশ্চিমা বায়ু এবং নিম্ন মেঘস্তরে সক্রিয় দুটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের অনেক অংশে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির ফলে রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গরম থেকে স্বস্তি মিলেছে।

আবহাওয়া বিভাগের মতে, উত্তর-পশ্চিম উত্তর প্রদেশ এবং হরিয়ানার উপরে নিম্নস্তরে দুটি ঘূর্ণিঝড় সক্রিয় রয়েছে, অন্যদিকে পাঞ্জাবের উপরে মধ্যস্তরে একটি পশ্চিমা বায়ুও বিদ্যমান। এই সকল ব্যবস্থার প্রভাবে আরব সাগর থেকে আসা আর্দ্র বাতাস উত্তর ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা বৃষ্টির প্রধান কারণ। এই বৃষ্টির ফলে কৃষকদেরও উপকার হবে কারণ খেতগুলিতে আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং ফসলের উপকার হবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষও প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি পেয়েছে, কিন্তু বজ্রপাত এবং প্রচণ্ড বাতাসের কারণে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

বিহারের ১২ জেলায় অরেঞ্জ সতর্কতা जारी, মৌসুমী বৃষ্টির আগমন তীব্র

বিহারে মৌসুমী বৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে ভারী বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে। পূর্ব বিহারের অনেক জেলায় প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং ঝড়ের কারণে আবহাওয়া বিভাগ ১২ জেলায় অরেঞ্জ সতর্কতা জারি করেছে। এই জেলাগুলির মধ্যে সুপৌল, আররিয়া, কিষাণগঞ্জ, সহর্ষা, মধুপুর, পূর্ণিয়া, কাটিহার ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। আবহাওয়া বিভাগের মতে, এই এলাকায় বজ্রপাতসহ প্রচণ্ড ঝড় আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মৌসুমী বৃষ্টির এই সক্রিয়তা কৃষকদের জন্য ফসল উৎপাদনের ভালো সংবাদ, কিন্তু হঠাৎ করে আসা বৃষ্টি এবং ঝড়ের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও বিহারের উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-মধ্য অংশের জেলাগুলিতে প্রচণ্ড বাতাস বয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমী বৃষ্টির এই প্রভাবে রাজ্যে মৌসুমী বৃষ্টির শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এবং আগামী দিনগুলিতে বৃষ্টির ধারা আরও তীব্র হতে পারে।

রাজস্থানে দুই দিন ধরে ঝড়-বৃষ্টি

রাজস্থানে গত দুই দিন ধরে ঝড় এবং বৃষ্টি চলছে। পশ্চিমা বায়ুর সক্রিয়তার কারণে সমগ্র রাজ্যে প্রচণ্ড ঝড়সহ বৃষ্টি হচ্ছে। জুন মাসে, যা সাধারণত প্রচণ্ড গরমের জন্য পরিচিত, এবার মানুষ গরমের পরিবর্তে বৃষ্টি এবং শীতলতার সম্মুখীন হচ্ছে। অনেক জেলায় সারাদিন হালকা বৃষ্টি চলছে, যার ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১০-১১ ডিগ্রি নিচে নেমেছে। এটিকে মৌসুমী বৃষ্টির আগমনের আগে গরম থেকে মুক্তির একটি ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৃষ্টি রাজস্থানের অনেক এলাকার আবহাওয়াকে শীতল করে তুলেছে।

উত্তরাখণ্ডে আবহাওয়ায় নমনীয়তা, বৃষ্টি এবং হালকা বৃষ্টির প্রভাব

উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য এলাকায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে এবং কিছু স্থানে বজ্রপাতসহ হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, সমভূমি এলাকায় রোদ উঠবে, তবে কোথাও কোথাও প্রচণ্ড বাতাসের সাথে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেহরাডুন এবং আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে মানুষ শীতল বাতাস এবং স্বস্তি অনুভব করছে। চারধাম যাত্রার এলাকায়ও হালকা বৃষ্টির ফলে আবহাওয়া সুন্দর হয়েছে। এই বৃষ্টি উদ্ভিদ এবং গাছপালাগুলির জন্যও উপকারী হচ্ছে।

Leave a comment