প্রতিটি মাতা-পিতার স্বপ্ন থাকে তাঁদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে ভালো সময়ে হোক, যাতে কেবল দাম্পত্য জীবন সুখময় না হয়, বরং দুই পরিবারের সম্পর্কও প্রেম ও সৌহার্দ্যে পরিপূর্ণ থাকে। হিন্দু ধর্মে বিয়ে কেবল একটি সামাজিক বন্ধন নয়, বরং একটি সংস্কার, যা জীবনের ১৬টি সংস্কারের মধ্যে একটি। এজন্যই বিয়ে শুভ মুহূর্তে সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি।
২০২৫ সালে বিয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি মুহূর্ত মে মাসে রয়েছে। যদি আপনি আপনার বাড়িতে বিয়ের শহনাই শুনতে চান, তাহলে এই মাসটি আপনার জন্য অত্যন্ত বিশেষ হতে পারে। এই মাসে মোট ১৫টি শুভ দিন রয়েছে, যখন বিয়ে সংস্কার করা যায়। এমতাবস্থায় এটি জানা জরুরি যে কোন কোন তারিখ বিয়ের জন্য উপযুক্ত এবং আগামী মাসগুলিতে কী ধরণের যোগ রয়েছে।
কেন শুভ মুহূর্তে বিয়ে করা জরুরি?
হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বিয়ে যদি শুভ নক্ষত্র, তিথি ও লগ্নে করা হয়, তাহলে নবদম্পতির জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। অন্যদিকে, গ্রহ-নক্ষত্রের অনুকূল যোগ সৃষ্টির ফলে পরিবারে সৌহার্দ্য ও শান্তি বজায় থাকে। যদি বিয়ে অশুভ সময়ে করা হয়, তাহলে দাম্পত্য জীবনে অসমঞ্জস্য, উত্তেজনা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য পণ্ডিত ও জ্যোতিষীদের পরামর্শ অনুযায়ী মুহূর্তে বিয়ে করা প্রয়োজন।
মে ২০২৫-এ বিয়ের জন্য শুভ তারিখ
এই বছর মে মাস বিয়ের জন্য সবচেয়ে অনুকূল বলে মনে করা হচ্ছে। নীচে সেই তারিখগুলির তালিকা দেওয়া হল, যেগুলিকে বিয়ের জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হচ্ছে:
- ১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- ৫ মে ২০২৫, সোমবার
- ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
- ৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- ১০ মে ২০২৫, শনিবার
- ১৪ মে ২০২৫, বুধবার
- ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার
- ১৭ মে ২০২৫, শনিবার
- ১৮ মে ২০২৫, রবিবার
- ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার
- ২৪ মে ২০২৫, শনিবার
- ২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
- ২৮ মে ২০২৫, বুধবার
এই সমস্ত তারিখ গ্রহ-নক্ষত্রের অনুকূলতা এবং শুভ যোগের উপর ভিত্তি করে বিয়ের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়েছে। যদি আপনি আপনার ছেলে-মেয়ের বিয়ে ঠিক করে থাকেন, তাহলে আপনি এই যেকোনো দিন বিয়ের আয়োজন করতে পারেন।
জুনের পর ৪ মাস শহনাই বাজবে না
মের পর জুন মাসেও বিয়ের কিছু মুহূর্ত থাকবে, কিন্তু জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কোন শুভ মুহূর্ত পাওয়া যাবে না। কারণ হল দেবশয়নী একাদশী, যা এই বছর জুনের শেষে আসবে। এই তিথি থেকে ভগবান বিষ্ণু চার মাসের জন্য যোগনিদ্রায় চলে যান, যাকে চাতুর্মাস বলা হয়। এই সময় কোনও মঙ্গলিক কাজ যেমন বিয়ে, গৃহ প্রবেশ, মুণ্ডন ইত্যাদি করা হয় না।
চাতুর্মাস শেষ হলে ভগবান বিষ্ণু দেবোঠানী একাদশী তিথিতে নিদ্রা থেকে জেগে উঠেন। তারপর আবার বিয়ে-সহ মঙ্গলিক কাজ শুরু হয়। নভেম্বরে এইবার মোট ১৪টি বিয়ে মুহূর্ত হবে এবং ডিসেম্বরে ৩টি মুহূর্ত থাকবে। তাই যারা মে বা জুনে বিয়ে করাতে পারছেন না, তারা নভেম্বর-ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন।
