অপারেশন সিন্দুরে ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছিল। মাসুদ আজহারের পরিবারের অনেক সদস্য নিহত হয়েছিল। এখন পাকিস্তান সরকার আজহারকে ১৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পাকিস্তান: ভারতের অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে পরিচালিত কঠোর পদক্ষেপের পাকিস্তানে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে এই অভিযানে ভারত পাকিস্তান ও পিওকে (গুলাম কাশ্মীর)তে বহু সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছিল। এই সময় ভারত জইশ-ই-মোহাম্মদের সর্দার মাসুদ আজহারের পরিবারকেও লক্ষ্য করেছিল, যার ফলে তার ১৪ জন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় নিহত হয়েছিল। এখন খবর হচ্ছে, পাকিস্তান সরকার মাসুদ আজহারকে ১৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অপারেশন সিন্দুর: ভারতের তীব্র প্রতিউত্তর
সম্প্রতি ভারত পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়েছিল। এতে পাকিস্তান ও পিওকেতে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে সঠিকভাবে লক্ষ্য করে ধ্বংস করা হয়েছিল। ভারতের এই আক্রমণাত্মক পদক্ষেপে পাকিস্তানে হইচই পড়ে গিয়েছিল। অনেক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছিল এবং জইশ-ই-মোহাম্মদকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।
মাসুদ আজহারের ব্যাপক ক্ষতি
ভারতের আঘাতের সময় মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪ জন সদস্যও নিহত হয়েছিল। জইশ-ই-মোহাম্মদের বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত ঘাঁটিতেও জোরদার আক্রমণ চালানো হয়েছিল। এর ফলে আজহারের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ধাক্কা লেগেছিল।
পাকিস্তান সরকার প্রতি সন্ত্রাসবাদীর জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে
এখন পাকিস্তান সরকার অপারেশন সিন্দুরে নিহত সন্ত্রাসবাদীদের পরিবারকে প্রতি ব্যক্তির জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাসুদ আজহারও তার ১৪ জন নিহত আত্মীয়ের নামে ১৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।
প্রতিবেদনে বড়ো তথ্য প্রকাশ
‘দ্য ট্রিবিউন’-এর একটি প্রতিবেদনের মতে, পাকিস্তানের ভিতরে ভারতের কর্মকাণ্ডের পর সন্ত্রাসবাদীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে এই আঘাতের ফলে মাসুদ আজহারের শক্তিও দুর্বল হয়ে পড়েছিল। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, পাকিস্তান সরকার প্রতি নিহত সন্ত্রাসবাদীর আত্মীয়কে ১ কোটি টাকা দেওয়ার ব্যাপারে বিবেচনা করছে।
ভারতের কূটনৈতিক জয়
ভারতের এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো পদক্ষেপ কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের কঠোর জবাব দেওয়াই নয়, বরং পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ঘিরে ফেলেছে। ভারতের বাড়ন্ত চাপ দেখে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছিল, যা থেকে স্পষ্ট যে ভারতের বার্তা ছিল সরল ও কঠোর।