পাহালগাম আক্রমণের প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত কোনো পুরষ্কার গ্রহণ করবেন না বলে ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

পাহালগাম আক্রমণের প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত কোনো পুরষ্কার গ্রহণ করবেন না বলে ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
সর্বশেষ আপডেট: 04-05-2025

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি আর পাটিল পাহালগাম আক্রমণের প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত কোনো স্বাগতিক পুষ্পগুচ্ছ বা স্মারক গ্রহণ করবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন। তিনি সূরতে ৭ম গ্লোবাল ইনভেস্টর কনফারেন্সে এ ঘোষণা করেন।

পাহালগাম আক্রমণ: কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাটিল পাহালগাম আক্রমণের প্রতিবাদে একটি বৃহৎ ও আবেগঘন পদক্ষেপ নিয়েছেন। সূরতে অনুষ্ঠিত ৭ম গ্লোবাল ইনভেস্টর কনফারেন্সের মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেন যে, যতক্ষণ না পাহালগাম আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়া হবে, ততক্ষণ তিনি কোনো অনুষ্ঠানেই স্বাগতিক পুষ্পগুচ্ছ বা স্মারক গ্রহণ করবেন না। তার এই সিদ্ধান্ত শুনে উপস্থিত জনতা তালি দিতে শুরু করে, এবং এই সিদ্ধান্তের বার্তা ছিল অত্যন্ত স্পষ্ট – ভারতের সুরক্ষা ও জাতির রক্ষা সর্বোচ্চ।

সূরতে সি আর পাটিলের ঘোষণা

গুজরাটের সূরতে অনুষ্ঠিত ৭ম গ্লোবাল ইনভেস্টর কনফারেন্সে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি আর পাটিল উপস্থিত ছিলেন। যখন তাকে স্বাগত জানাতে পুষ্পগুচ্ছ দেওয়া হয়, তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন এবং কোনো স্মারকও গ্রহণ করেননি। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা মঞ্চ থেকে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন, যার ফলে সকলেই তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান। পাটিল বলেন, "যতক্ষণ না পাহালগাম আক্রমণের প্রতিশোধ পূর্ণ হবে, ততক্ষণ আমি কোনো ধরণের স্বাগত অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করব না।"

পাহালগাম আক্রমণে পাটিলের অবস্থান

পাটিল পাহালগাম আক্রমণের পর ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের সমর্থন করেছিলেন। আক্রমণে ভারতীয় নাগরিকদের প্রাণহানি হয়েছিল এবং এর পর ভারত সরকার পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করে।

জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাটিল বলেছিলেন যে, এই সিদ্ধান্ত জাতীয় সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল এবং ভারতকে নিশ্চিত করতে হবে যে পাকিস্তান সিন্ধু নদীর এক ফোঁটা জলও পাবে না। পাটিল এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক এবং সম্পূর্ণ জাতীয় স্বার্থে বলে অভিহিত করেছিলেন।

৭ম গ্লোবাল ইনভেস্টর কনফারেন্সের উদ্দেশ্য

সূরতে অনুষ্ঠিত ৭ম গ্লোবাল ইনভেস্টর কনফারেন্সের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারতের উন্নয়নশীল ভবিষ্যতকে সমর্থন করা। এই অনুষ্ঠানে বিনিয়োগ, উদ্যমিতা এবং উদ্ভাবন যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এই সম্মেলন এই বিষয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল যে, কিভাবে ভারত তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করতে পারে। পাটিল এই মঞ্চ থেকে তার সরকারের নীতির সমর্থন করেছেন এবং এটাও স্পষ্ট করেছেন যে কোনো ধরণের কূটনৈতিক বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত অস্পষ্টতা সহ্য করা হবে না।

Leave a comment