চেন্নাইয়ের মহিলা আদালত অন্না বিশ্ববিদ্যালয় যৌন নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত জ্ঞানশেখরনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ২ জুন আদালত এই মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে।
Anna University Case: চেন্নাইয়ের মহিলা আদালত অন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের একা ছাত্রীর সাথে যৌন নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত জ্ঞানশেখরনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই মামলায় আদালত ২ জুন চূড়ান্ত রায় দেওয়ার তারিখও নির্ধারণ করেছে। এই ঘটনা গত বছরের ডিসেম্বরে ঘটেছিল, যা সমগ্র অঞ্চলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
ঘটনার বিবরণ
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ অন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ১৯ বছর বয়সী ছাত্রী তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। এ সময় অভিযুক্ত জ্ঞানশেখরন, যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিরিয়ানি বিক্রি করত, সেখানে এসে উপস্থিত হয়। সে ছাত্রীর বন্ধুর সাথে মারধর করে এবং এরপর ছাত্রীর সাথে যৌন নির্যাতন করে। ঘটনার পরে পীড়িতা তৎক্ষণাৎ কোট্টুরপুরম থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং উভয় পীড়িতের চিকিৎসা ব্যক্তিগত হাসপাতালে করা হয়।
পুলিশের তদন্ত ও পদক্ষেপ
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করে অপরাধ প্রমাণ করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করে। এই মামলা পুলিশ প্রশাসনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে যখন ক্রিসমাস উৎসবের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পর্যালোচনা চলছিল।
আদালতের রায়
চেন্নাইয়ের মহিলা আদালতের বিচারক রাজলক্ষ্মী অভিযুক্ত জ্ঞানশেখরনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এখন ২ জুন এই মামলায় শাস্তির ঘোষণা করা হবে। এই রায় কেবলমাত্র পীড়িতার জন্য ন্যায়বিচার নয়, বরং সমাজে যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবেও বিবেচিত হবে।
ছাত্রীদের প্রতিবাদ ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পরে অন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা জোরালো প্রতিবাদ করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তোলে। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়, যার ফলে সমগ্র শহরে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
পুলিশ প্রশাসনের উপর প্রশ্ন
এই ঘটনা পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরে। বিশেষ করে যখন পুলিশ ক্রিসমাসের সময় নিরাপত্তার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল। বিরোধী দলগুলিও এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে এবং পুলিশের অবহেলার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে।