অপারেশন সিন্দুর: ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাফল্যের সংবাদ সম্মেলন

🎧 Listen in Audio
0:00

সীজফায়ারের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিন্দুর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন, যাতে বিমানবাহিনী কর্তৃক করাচি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং চীনা মিসাইল ধ্বংসের দাবি করা হয়েছে।

অপারেশন-সিন্দুর: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী অপারেশন সিন্দুর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে, যেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এই অপারেশনের আওতায় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে নেওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। এখানে জেনে নিন সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো, যা থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আত্মবিশ্বাস এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিচয় পাওয়া যায়।

অপারেশন সিন্দুর: সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলন

ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি প্রধান অংশ (বিমানবাহিনী, স্থলবাহিনী এবং নৌবাহিনী)-এর ডিজি সংবাদ সম্মেলনে অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। অপারেশন সিন্দুরের আওতায় বিমানবাহিনী করাচি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার কথা নিশ্চিত করেছে। এই হামলা পাকিস্তানের সামরিক কার্যকলাপকে কেবল দুর্বল করে তোলেনি, বরং এটি এই বার্তাও দিয়েছে যে ভারত যেকোনো ধরণের আক্রমণের জোরালো প্রতিরোধ গড়তে প্রস্তুত।

পাকিস্তানের চীনা মিসাইল ধ্বংস

ভারতীয় সেনাবাহিনী এ কথাও প্রকাশ করেছে যে তারা পাকিস্তান কর্তৃক ব্যবহৃত চীন নির্মিত পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ধ্বংস করেছে। সেনাবাহিনী মিসাইলের ধ্বংসাবশেষও প্রদর্শন করেছে। এই মিসাইলটি পাকিস্তান ভারতের উপর আক্রমণের সময় ব্যবহার করেছিল। এই সাফল্যকে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের স্বদেশী ‘আকাশ’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য হিসেবে উপস্থাপন করেছে, যা এই অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন

এয়ার মার্শাল এ. কে. ভারতী জানিয়েছেন যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় সীমান্তে আক্রমণের পরিকল্পনা করতে সন্ত্রাসবাদীদের সাথে মিলে কাজ করেছে। তিনি বলেছেন, "আমরা আবার দেখেছি যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করছে। এটাই কারণ আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। আমাদের লড়াই সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সহায়কদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়।"

সেনাবাহিনীর লক্ষ্য: সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করা

ভারতীয় সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে বলেছে যে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নয়, বরং সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করা। লেফটেন্যান্ট রাজীব ঘাই জানিয়েছেন যে গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের চরিত্র বদলেছে এবং নিরপরাধ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, "পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের কারণেই আমাদের এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে।"

পাকিস্তানের পাপের পাত্র পূর্ণ হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনের সময় ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট রাজীব ঘাই বলেছেন যে পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের "পাপের পাত্র" পূর্ণ হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে পাকিস্তান কর্তৃক সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন এবং নিরপরাধ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করেছে।

সেনাবাহিনী পরবর্তী অভিযানের জন্য প্রস্তুত

ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সংবাদ সম্মেলনে এ কথাও স্পষ্ট করে বলেছে যে তারা যেকোনো পরবর্তী অভিযানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করা, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করা নয়। সেনাবাহিনী এ কথাও জানিয়েছে যে তাদের সকল এয়ারবেস সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত।

Leave a comment