পহলগাম আক্রমণের প্রতিশোধ: ‘অপারেশন সিন্দুর’ ও পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

পহলগাম আক্রমণের প্রতিশোধে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে পাকিস্তানে বহু সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। প্রতিশোধমূলক আক্রমণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ইসলামাবাদ, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডিতে বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

IND-PAK Tensions: জম্মু-কাশ্মীরের পহলগামে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের পর পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেওয়ার জন্য ভারত “অপারেশন সিন্দুর” শুরু করে। এই অপারেশনে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানে অবস্থিত বহু সন্ত্রাসবাদী লঞ্চপ্যাড এবং সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করে দেয়।

এই অপারেশনের উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট – সন্ত্রাসবাদের অবলম্বন হয়ে ওঠা ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা। ভারতের এটি ছিল একটি সার্জিক্যাল এবং প্রিশিজন স্ট্রাইক, যা সীমিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছিল।

পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ

ভারতের পদক্ষেপের পর শুক্রবার গভীর রাতে পাকিস্তান ভারতের চারটি রাজ্যের ২৬টি শহরকে ড্রোন দিয়ে লক্ষ্য করার চেষ্টা করে। এই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানো। কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এই সকল আক্রমণকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দেয়।

পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: কোথায় কোথায় ধ্বংসযজ্ঞ

ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের পর পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি এবং পাঞ্জাবের মতো এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিস্ফোরণগুলিতে এয়ারবেস, সেনা ক্যাম্প এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়েছে।

প্রধান স্থান যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে

রাওয়ালপিন্ডি: নুর খান এয়ারবেসের কাছে জোরালো বিস্ফোরণ। এই এয়ারবেস পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এখানেই IL-78 বিমান (এয়ার-টু-এয়ার রিফুয়েলিং)ও স্থাপিত রয়েছে।

লাহোর: ডিএইচএ ফেজ-৬-এ জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যদিও এর স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।

পাঞ্জাব (ঝাং): শোরকোটের কাছে রফিকী এয়ারবেসের কাছে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।

চকোয়াল: মুরিদ বেসের কাছে বিস্ফোরণের খবর।

এই আক্রমণগুলি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড় ত্রুটি প্রকাশ করেছে এবং জনগণের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারত-পাক তীব্র উত্তেজনা: যুদ্ধের আশঙ্কা বৃদ্ধি

ভারতের অপারেশন এবং পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক চেষ্টার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান একটি নতুন NOTAM জারি করে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিজেদের এয়ারস্পেস বন্ধ করে দিয়েছে। এখন শুধুমাত্র সামরিক বিমানই উড়ান ভরতে পারবে।

পাকিস্তানের ১৫তম ডিভিশন সক্রিয়—যুদ্ধের প্রস্তুতি?

ভারতের সাথে বর্ধমান উত্তেজনার কারণে পাকিস্তান তাদের ১৫তম ডিভিশনকে পুনরায় সক্রিয় করেছে। এটি সেই ডিভিশন যা ২০০১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সীমিত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সক্রিয় ছিল। এখন এটিকে পুনরায় মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যার ফলে যুদ্ধের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।