লালু ও তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে ‘জমি বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় রাউজ এভিনিউ কোর্টের বড় ধাক্কা

লালু ও তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে ‘জমি বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় রাউজ এভিনিউ কোর্টের বড় ধাক্কা
সর্বশেষ আপডেট: 25-02-2025

রাষ্ট্রীয় জনতা দল (রাজদ) প্রধান এবং প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর পুত্র, বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব দিল্লির রাউজ এভিনিউ কোর্ট থেকে বড় ধাক্কা পেয়েছেন।

পাটনা: 'জমি বিনিময়ে চাকরি' (ল্যান্ড ফর জব) দুর্নীতি মামলায়, রাউজ এভিনিউ কোর্ট প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর কন্যা হেমা যাদব, পুত্র তেজপ্রতাপ যাদব, পত্নী রাবড়ী দেবী এবং কন্যা মীসা ভারতী সহ সকল আসামিকে সমন জারি করেছে। সিবিআই এই মামলায় লালু যাদবসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল। কোর্ট সকল আসামিকে ১১ মার্চ উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

কী ঘটেছে পুরো ঘটনা?

এই মামলা লালু প্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-২০০৯) জমি বিনিময়ে রেলওয়েতে চাকরি দেওয়ার অভিযোগের সাথে জড়িত। সিবিআই (CBI)-এর তদন্তে দেখা গেছে যে, রেলওয়েতে গ্রুপ ডি-র চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে তাদের জমি অত্যন্ত কম দামে নেওয়া হয়েছিল। এই মামলায় লালু প্রসাদ, তেজস্বী যাদব, প্রাক্তন বিধায়ক ভোলা যাদব, প্রেমচন্দ গুপ্তাসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

১১ মার্চ বড় ধরনের ব্যবস্থা হতে পারে

বিশেষ ন্যায়াধীশ বিশাল গোগনে সিবিআই-এর অভিযোগপত্রের স্বীকৃতি দিয়ে সকল আসামিকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থার মতে, এই দুর্নীতি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছিল, যাতে লালু প্রসাদ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকজন সরাসরি জড়িত ছিল। কোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ মার্চ নির্ধারণ করেছে, যেদিন লালু প্রসাদ, তেজস্বী যাদব এবং অন্যান্য আসামিদের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। যদি তারা উপস্থিত না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্টও জারি করা হতে পারে।

সিবিআই-এর তদন্ত এবং অভিযোগ

সিবিআই তাদের তদন্তে ৩০ জন সরকারি কর্মচারীসহ ৭৮ জনকে আসামি করেছে। তদন্তে আরও দেখা গেছে যে, রেলওয়েতে নিয়োগ প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে চাকরি দেওয়া হয়েছিল এবং তার বিনিময়ে আসামিরা তাদের বা তাদের আত্মীয়-স্বজনের নামে জমি নিয়েছিল। সিবিআই-এর মতে, এই সম্পত্তিগুলি পরে লালু প্রসাদের পরিবারের সদস্য এবং তাদের ঘনিষ্ঠদের নামে স্থানান্তরিত হয়েছিল।

Leave a comment