প্রতি বছর ১০ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী বিচারক দিবস পালিত হয়, যা ন্যায় ও সমতায় সোচ্চার সকল নারী বিচারকদের সম্মান জানানোর এক অপূর্ব সুযোগ। এই দিবসটি ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় লিঙ্গ সমতা, নিরপেক্ষতা এবং নারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার প্রতীক।
নারী বিচারকদের অবদান ও সংগ্রাম
আজও ন্যায়পালিকায় নারীদের বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তাদের যৌন হয়রানি, বদমাসি, বৈষম্য এবং নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এর পরও, সাহস ও দৃঢ়সংকল্পের সাথে নারী বিচারকরা নিজেদের পরিচয় তৈরি করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (UNGA) ২৮শে এপ্রিল, ২০২১-এ একটি প্রস্তাব পাস করে ১০ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী বিচারক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
প্রথমবার কখন এই দিবস পালিত হয়েছিল?
প্রথমবার এই দিবস ১০ই মার্চ, ২০২২ সালে পালিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের সাফল্য উদযাপন করা। "ন্যায়বিচারে নারী, ন্যায়বিচারের জন্য নারী" থিম নিয়ে এই বছর এই দিবস পালিত হচ্ছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ন্যায়পালিকার সকল স্তরে নারীদের পূর্ণ ও সমান অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা।
নারী বিচারকদের সাফল্য
ভারতের প্রথম নারী বিচারক: মীরা সাহেব ফাতিমা বিবি সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত প্রথম নারী বিচারক ছিলেন। জাতিসংঘ ও ন্যায়বিচার: নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য ইউএনওডিওসি (UN Office on Drugs and Crime) ২০২০ সালে কাতারের দোহায় একটি সম্মেলন আয়োজন করেছিল, যেখানে নারী বিচারকদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বিশ্বজুড়ে নারী বিচারকদের সংখ্যা: আজও ন্যায়পালিকায় নারীদের শতাংশ পুরুষদের তুলনায় অনেক কম।
নারী বিচারকদের সম্মান জানানোর দিন
আন্তর্জাতিক নারী বিচারক দিবস কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং সেই সকল নারীর সংগ্রামকে সালাম জানানোর দিন যারা অসুবিধার মধ্যেও ন্যায়ের আসনে বসে সমাজে সমতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তি স্থাপন করেছেন। এই দিবসে আমরা সেই সকল নারী বিচারকদের সম্মান জানাই, যারা তাদের সাহস ও দৃঢ়সংকল্পের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন এবং নারীদের জন্য নতুন পথ উন্মোচন করেছেন।