প্রতি বছর ২৬শে মার্চ জাতীয় পালং শাক দিবস পালিত হয়, যা এই পাতাযুক্ত সবুজ শাকের অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার এক অনন্য সুযোগ। প্রাচীন পারস্য থেকে শুরু হওয়া পালং শাকের যাত্রা আজ বিশ্বের সকল রান্নাঘরে এক বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। পালং শাককে পুষ্টির ভান্ডার বলে মনে করা হয়। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা শরীরকে শক্তি প্রদানের সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
আপনি কি জানেন?
পালং শাককে "ফারসি শাক" নামেও পরিচিত ছিল, কারণ এটি পারস্য (বর্তমান ইরান) থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ফ্রান্সের রাণী ক্যাথরিন ডি মেডিসি পালং শাক এতো পছন্দ করতেন যে তিনি এটিকে তার প্রতিটি খাবারের অংশ করে নিতেন।
পালং শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং হৃদয়কে সুস্থ রাখে।
পালং শাকের প্রকারভেদ এবং তাদের উপকারিতা
সেভয় পালং শাক – গাঢ় সবুজ রঙ এবং ঘুঁটিযুক্ত পাতাযুক্ত, যা তাজা খাওয়া যায়।
সরল পাতাযুক্ত পালং শাক – এর চওড়া এবং মসৃণ পাতা ক্যানড এবং ফ্রোজেন খাবারে ব্যবহার করা হয়।
সেমি-সেভয় পালং শাক – এর পাতা কিছুটা ক্রিস্পি হয় এবং এটি তাজা অথবা প্রসেসড আকারে ব্যবহার করা হয়।
কিভাবে জাতীয় পালং শাক দিবস পালন করবেন?
পালং শাক ভিত্তিক রান্নার আনন্দ উপভোগ করুন – পালং শাক পনির, পালং শাক পরোটা, পালং শাক স্মুথি, অথবা পালং শাক স্যুপ তৈরি করুন।
বাড়িতে পালং শাক চাষ করুন – এটি অল্প জায়গাতেও সহজেই চাষ করা যায়, গামলায় অথবা রান্নাঘরের বাগানে।
পালং শাকের উপকারিতা অন্যদের কাছে পৌঁছে দিন – #NationalSpinachDay হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার প্রিয় পালং শাক রেসিপি শেয়ার করুন।
ভারতে পালং শাকের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ভারতে সুপারফুডের চাহিদা বেড়েছে এবং পালং শাক স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে। অনেক ভারতীয় পরিবার এখন এটিকে তাদের দৈনন্দিন খাদ্যের অংশ করে নিচ্ছে। সুতরাং, এই জাতীয় পালং শাক দিবসে, এই পুষ্টিকর সবুজ শাকটি আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এবং সুস্থ জীবনের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যান!